কামাল হত্যাকোন্ডে আটককৃতদের স্বীকারোক্তি

Kamalসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট নগরীতে আলোচিত কামাল হত্যাকাণ্ডে আটককৃত দুই আসামি পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। আটককৃত বেলাল আহমদ ও কাজের মেয়ে জ্যোসনা বেগম মঙ্গলবার রাতে ১৬১ ধারায় তাদের জবানবন্দি প্রদান করে। বুধবার বেলা পৌনে ২টার দিকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আটককৃতদের আদালতে সৌপর্দ করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। স্বীকারোক্তিতে আটককৃতরা বলেন, সিলেট সিটির সাবেক মহিলা কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানুর স্বামী তাজুল ইসলাম ও ছেলে রায়হানসহ পরিবারের লোকজন কামালকে কুপিয়ে খুন করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে আহত কামালের গলা দিয়ে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
মনিরুল ইসলাম বলেন, বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত নিহত কামালের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও মামলা দায়ের করা হয়নি। যে কারণে আটককৃতদের ৫৪ ধারায় আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।
আটক বেলাল তার জবানবন্দিতে জানিয়েছে, সোমবার রাতে কামাল স্থানীয় মসজিদ থেকে এশার নামাজ আদায় করে খুলিয়াটুলা রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে বসে। আগে থেকেই তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। পরে কামালের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত হয় তাজুল পরিবার। তখনই সোহান খুনের বদলা নিতে খুলিয়াটুলা রাস্তার মোড়ে সশস্ত্র অবস্থান নেয় তারা। বাসায় ফেরার পথে ওই স্থানে কামালকে কুপিয়ে খুন করা হয়।
বেলাল আরও জানায়, খুনের ঘটনায় রায়হানের সঙ্গে আরও ৩ জন বহিরাগত ছেলে ছিল। তাদের নাম বলতে পারেনি বেলাল। ঘটনার সময় বাসার কাজের মেয়ে অস্ত্র এগিযে দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে আহত কামালের গলা দিয়ে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। খুনের ঘটনার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এলাকায় গেলে পুলিশ তাকে (বেলাল) আটক করে।
তবে খুনের ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে বেলাল জানায়, এসব কথা তিনি ঘটনার পর জানতে পেরেছেন।
এদিকে, কাজের মেয়ে জ্যোসনা বেগমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কাউন্সিলর শানু ও তাজুল দম্পতির খুলিয়াটুলাস্থ বাসা থেকে ৯টি রাম দা উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, খুনের ঘটনায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮ টায় সিলেট নগরীর খুলিয়াপাড়া এলাকায় কামাল আহমদ (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত কামাল ওই এলাকার ২৬ নং বাড়ির মৃত সৃরুজ মিয়া ছেলে। খুনের ঘটনার পর সাবেক কাউন্সিলর শানুর ভাই বেলাল আহমদ ও বাসার কাজের মেয়ে জ্যোসনা বেগমকে আটক করে পুলিশ।