ইউরিনারি ব্লাডারে পাইপ রেখে কিডনি অপারেশন! : ডা. সালেহীনকে আদালতের সমন

Pipe in Urinary Bladarসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ কিডনি থেকে পাথর অপসারণ করে ইউরিনারি ব্লাডারে প্লাস্টিকের পাইপ রেখে অপরারেশন সম্পন্ন করেছেন সিলেটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রফিকুস সালেহীন। এতে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে তার ইউরিনারি ব্লাডারে টিউমার হয়েছে এবং পুণরায় দ্রুত অপারেশনের তাগিদ দেন ওই চিকিৎসক। এতে রোগীর স্বজনদের সন্দেহ হলে তারা অন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। টেস্টে ধরা পড়ে আগের অপারেশনের সময় ইউরিনারি ব্লাডারে পাইপ রেখে ওই চিকিৎসক অপারেশন সম্পন্ন করেছেন। এ ঘটনায় গতকাল ওসমানীনগর উপজেলার নূরপুর গ্রামের পিয়ারা বেগমের স্বামী আবদুল মোছাব্বির মহানগর হাকিম ১ম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মহানগর হাকিম মো. শাহেদুল করিম শুনানী শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. রফিকুস সালেহীনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
বাদি আবদুল মোছাব্বির মামলায় উল্লেখ করেন, গত ২৭ জুন সিলেট নগরীর রিকাবীবাজারে বেসরকারি কিনিক মহানগর হাসপাতালে তার স্ত্রী পিয়ারা বেগমের কিডনি থেকে পাথর অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করেন ডা. রফিকুস সালেহীন। ৩০ জুন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও অপারেশস্থলে রোগীনি প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেন। এ অবস্থায় বিষয়টি ডা.
সালেহীনকে অবগত করলে তিনি অতিরিক্ত কিছু ঔষধ লিখে দিলেও তাতে কোনে উন্নতি হয়নি। গত ৫ জুলাই ফের চিকিৎসকের কাছে আসলে তিনি আরো কিছু ব্যথানাশক ঔষধ লিখে দেন। কিন্তু রোগীনির অবস্থার অবনতি ঘটলে গত ১৩ জুলাই আসলে তিনি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দেন। একদিন পর রিপোর্ট নিয়ে চেম্বারে আসলে চিকিৎসক রোগীনির ইউরিনারিব্লাডারে টিউমার হয়েছে বলে জানিয়ে দ্রুত অপারেশনের তাগিদ দেন।
এতে সন্দেহ হলে গত ১৯ জুলাই স্ত্রীকে নিয়ে মামলার বাদি আবদুল মোছাব্বির ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম লিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই চিকিৎসক পুনরায় কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পর রিপোর্টে আগের অপারেশনের সময় ইউরিনারিব্লাডারে পাইপ রেখে সেলাই করে দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরবর্তিতে ডা. শফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ফের অস্ত্রোপচার করে পাইপটি অপসারণ করা
হয়। মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ২৭ জুন সিলেট নগরীর রিকাবীবাজারস্থ মেট্ট্রোপলিটন হাসপাতালে তার স্ত্রী পিয়ারা বেগমের কিডনি থেকে পাথর অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করেন ডা. রফিকুস সালেহীন। অস্ত্রোপচারের পর ৩০ জুন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হলেও অপারেশনস্থলে তার স্ত্রী প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেন। মামলায় বাদি পরে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন ও অ্যাডভোকেট ময়নুল ইসলাম। অ্যাডভোকেট ময়নুল ইসলাম জানান, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. রফিকুস সালেহীনের বিরুদ্ধে সমন
জারি করেছেন।