অজানা আতঙ্ক : সিলেট ছাত্রলীগে বিবৃতির হিড়িক

Juboleage-Chhatroleageসুরমা টাইমস ডেস্কঃ গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠানোর হিড়িক পড়েছে সিলেট ছাত্রলীগে। সাবেক ছাত্রনেতা থেকে শুরু করে বর্তমান ছাত্রনেতারাও বিভিন্ন ইস্যুতে দিচ্ছেন একের পর এক বিবৃতি। একসময়কার আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা ও সিলেট ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণকর্তাদের একজন বিধান সাহার হাত ধরেই শুরু হয় বিবৃতি পাঠানো। এরপর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পিযুষ কান্তি দে, তারই অনুসারী নগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিকের বিবৃতি। তিনটি বিবৃতিই অভ্যন্তরিণ রেষারেষিকে ঘিরে। বিবৃতির দৌঁড়ে আছেন জেলা ছাত্রলীগের কান্ডারি শাহরিয়ার আলম সামাদও। একটি অজানা আতঙ্কের তাড়া থেকে গণমাধ্যমে এই বিবৃতিগুলো আসছে বলে মনেকরছেন রাজনৈতিক সচেতন মহল।
ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মদন মোহন কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস বিধান কুমার সাহা ১৬ আগস্ট পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ নিয়ে কেউ কোন বিরূপ মন্তব্য করলে তার দায়ভার মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেবে না বলে। নগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এইচ ইলিয়াসি দিনারের মাধ্যমে পাঠানো হয় ওই বিবৃতিটি। এতে বিধান সাহা বলেন, বিভিন্ন ইস্যূকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে এর দায়ভার মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের উপর চাপানোর ষড়যন্ত্র চলছে।
বিধানের বিবৃতির পরপরই আসে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পিযুষ ও তারই গ্রুপের নেতা সজল দাস অনিকের বিবৃতি। পিযুষ তার বিবৃতিতে দাবি করেন। তিনি বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবকলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। পিযুষ কান্তির পাঠানো বিবৃতির একাংশ হুবুহু তুলে ধরা হলো-
‘বিগত ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জামায়াত-শিবির যখন সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকায় আগুন ধরিয়েছিল তখন জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে রাজপথে আমিই অবস্থান নিয়েছিলাম। দীর্ঘ ২২ বছরের রাজনীতির জীবনে কোনদিন জামায়াত-শিবিরের সাথে আপোষ করিনি, মাথানত করিনি অন্যায়ের কাছে। বর্তমানে আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু সংখ্যক সুবিধাভোগী ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের কুৎসা রটাচ্ছে। তারা আমার নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। যা আমি অবগত নই এবং এর কোন দায়ভার আমি বহন করব না। বর্তমানে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নই। ভবিষ্যতে আমার নাম ভাঙিয়ে যদি কেউ কোন অপকর্ম করে তাহলে তাকে সরাসরি পুলিশে সোর্পদ করার অনুমতি প্রদান করছি।’
গুরু পিযুষের পক্ষে তারই শিষ্য নগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক তার বিবৃতিতে বলেন, পিযুষ কান্তি দে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নন, তিনি স্বেচ্ছাসেবকলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি ২০০৩-২০১১ সাল পর্যন্ত সফলতার মাধ্যমে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ছাত্রলীগ নয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। ভবিষ্যতে মহানগর ছাত্রলীগ সম্পৃক্ত কোন সংবাদে সাবেক এই ছাত্রনেতার (পিযুষের) নাম প্রদান না করার জন্য অনুরোধ জানান অনিক।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদও শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সিলেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি স্থাপনের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সকল জেলা ও বিভাগীয় শহরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি থাকলেও সিলেটের মতো একটি বিভাগীয় শহরে আজ পর্যন্ত কোনো প্রতিকৃতি নির্মিত হয়নি। এটা সিলেটবাসীর জন্য দুঃখজনক।’