ছাত্রলীগ নেতার কবল থেকে প্রবাসীর জায়গা উদ্ধার

Pijusসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নগরীর মির্জাজাঙ্গালে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পিযুষ কান্তি দে’র দখলে থাকা প্রবাসীর আড়াই কোটি টাকা মূল্যের জায়গা উদ্ধার করেছে তারই দলের নেতাকর্মীরা। গতকাল সোমবার সরকার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিলে দখলকারীদের তাড়িয়ে দিয়ে ওই জায়গা দখলমুক্ত করেন। জায়গার মালিক সিলেটের দণি সুরমার রেঙ্গা হাজীগঞ্জের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুল কাদির সেলিম ও তার মা আম্বিয়া খাতুন। গত ২৭ মে তারা ওই জায়গা স্থানীয় বাসিন্দা আওয়ামীলীগ নেতা মিহির দেব এর সাথে বায়না করেন।
জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবরে নগরীর মির্জাজাঙ্গালে সাড়ে ৯ শতক জায়গা বিক্রির জন্য সাইনবোর্ড টানান প্রবাসী আবদুল কাদির সেলিম। ওই জায়গার কিছু অংশে ৩ দোকান ও কক্ষ রয়েছে। সাইনবোর্ড দেখে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ক্যাডার পিযুষ কান্তি দে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে খাতিরও জমান প্রবাসীর সাথে। এক পর্যায়ে জায়গার মালিক সেলিমকে ভয় দেখিয়ে তা দখল করতে চান পিযুষ। ভয়ে সেলিম যুক্তরাজ্যে ফিরে গেলে পিযুষ জায়গা দখল করে নেন। সেখানে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী সিহাবের নামে শহীদ সিহাব স্মৃতি পরিষদের সাইনবোর্ড টানানো হয়। সেখানে দলীয় আডডার পাশাপাশি মাদক সেবনও হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি প্রবাসী সেলিম দেশে এসে জায়গা বিক্রি উদ্যোগ নিলে ডেসিমেল প্রতি ১৫ লাখ টাকা মালিককে দিয়ে বাকি টাকা তিনি কমিশন হিসেবে নেবেন বলে জানান পিযুষ। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী পিযুষ বাসা ছেড়ে যাওয়ারও অঙ্গিকার করেও দখল ছাড়েননি। এ অবস্থায় প্রবাসী সেলিম ও তার মা জায়গাটি মির্জাজাঙ্গাল এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা মিহির দেব’র সাথে গত ২৭ এপ্রিল বায়নামা করেন। জায়গা বায়নামার পর গত ১১ মে কোতোয়ালী থানায় জিডিও করেন জায়গার মালিক সেলিম।
মিহির দেব গতকাল সোমবার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ফখরুল ইসলাম শায়েস্তাসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে জায়গাটি দখল মুক্ত করেন। ওই সময় জায়গা থেকে পিযুষের লোকজনকে তাড়িয়ে দেন তারা। দখল প্রসঙ্গে পিযুষ কান্তি সাংবাদিকদের জানান, জায়গাটি মঙ্গলচন্ডী দেবতার সম্পত্তি। জাল দলিল তৈরি করে বাসা থেকে লোকজন বের করে দিয়ে একটি প দখল করে নিয়েছে। জায়গার মালিক সেলিম জানান, তিনি ও তার মা ১৯৫৫ সাথে জায়গাটি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন। পিযুষ নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।