গভীর রাতে দক্ষিণ সুরমার ‘পাপরাজ্যে’ অভিযান : পুলিশকে মাদক ব্যবসায়ীদের ধাওয়া

সুন্দরীর হাটে অভিযানকালে দা, লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া

বিশেষ পুলিশি অভিযানে আটক নারী ও পুরুষ।
বিশেষ পুলিশি অভিযানে আটক নারী ও পুরুষ।

সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নগরীর দক্ষিণ সুরমার আলোচিত পাপরাজ্যে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ১১টা থেকে গভীররাত ২টা পর্যন্ত টানা তিন ঘন্টার এই বিশেষ অভিযানে ধরা পড়েছে আট নারীসহ ১৯জন। যাদের বিরুদ্ধে মদ, জুয়া, পতিতাবৃত্তিসহ অসামাজিক কায়কলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) জেদান আল মুছা শুক্রবার রাত পৌনে ৩ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান- অভিযান শেষে রাত আড়াইটায় আটককৃতদের দক্ষিণ সুরমা থানা হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জেদান জানান, অভিযানকালে দক্ষিণ সুরমা এলাকার পাপরাজ্য খ্যাত পুরাতন রেল স্টেশন এলাকার চান্দেরবাড়ি থেকে ৫ জন, কদমতলী, ভার্তখলা, পুরাতন রেল স্টেশন, সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে মদ-জুয়ার আসর থেকে ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে অন্য ১৪ জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- নুর মোহাম্মদ (৩০), জুম্মান আহমদ (২০), মো. রফিক (২৪), আমজাদ হোসেন, (২২),বিমল দেবনাথ (৩৫), জাহাঙ্গীর আলম (২০), মো. জাহাঙ্গীর (৩০), আব্দুস শহীদ মটাই (৩০), পরভেজ (৩০), গৌরাঙ্গ চন্দ্র (২৫), রুনা আক্তার (২০), সুজিনা আক্তার (১৮), নুপুর (২২), লিপি আক্তার (২৩), প্রিয়া আক্তার (৩০), ফারজানা বেগম (৩০), সাহেরা বেগম লিজা (২০) ও হাওয়ারুন (৩২)।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরছালিন বলেন, রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (দক্ষিণ) অপূর্ব দেকনাথ, সহকারি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এ বিশেষ অভিযানে অংশ নেয়। পুলিশের এই বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওসি।
এদিকে অপরাধীদের বাঁধার মুখে কদমতলীস্থ আল কমপ্লেক্সর পেছনে সুন্দরীর হাটে অভিযান চালাতে পারেনি পুলিশ। অভিযানকালে ওই মাদক হাটের লোকজন দা, লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের দিকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে পুলিশ পিছু হটে। পরে আর অভিযান হয়নি ওই মাদক হাটে।
অপরাধীদের ধাওয়ার কথা স্বীকার করে ওসি বলেন, ‘ওই এলাকাটি অন্ধকার থাকায় পুলিশ রিস্ক নেয়নি। আগামীতে এ এলাকায় জোরালো অভিযান চালানো হবে।’
উল্লেখ্য, ২৬ মে (সোমবার) সিলেট মহানগরন পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানায় ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন সামন্তকে জুয়া ও মাদকের হাট উচ্ছেদে ৭২ ঘন্টা আলটিমেটাম দেন পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান। তাঁর এই নির্দেশ উপেক্ষিত হওয়ায় ওসিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।