লঞ্চ পাওয়া গেল না, উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা

Padma Boat Sinkসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সাতদিনেও মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চ পিনাক-৬- এর কোনো সন্ধান করতে পারেনি উদ্ধারকারীরা। ফলে রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদল এই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ধাতব বস্তুর সন্ধানে শুধুমাত্র নদীতে জরিপ-১০ ও কাণ্ডারি-২ কাজ করবে। এছাড়া উদ্ধার তৎপরতা থেকে সব বিভাগ ও বাহিনীকে রবিবার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
জরিপ-১০, কাণ্ডারি-২ ছাড়াও দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে গত ৪ জুলাই ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ কাজ করেছে। উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে মাওয়ার পদ্মা নদীতে পিনাক-৬ লঞ্চ ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত পদ্মার ভাটিতে নানা জায়গায় নদী থেকে মোট ৪৩ জন যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদল জানিয়েছিলেন, উদ্ধার লাশের মধ্যে ২৭ জনের পরিচয় সনাক্তের পর তাদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। আর ১২ জনের ডিএনএন নমুনা সংগ্রহ করে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। বাকি মরদেহ মাদারীপুরের শিবচরের পাঁচ্চর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, ডুবে যাওয়া লঞ্চের ৪৯ জন যাত্রীর জীবিত থাকার সন্ধানের পর নিখোঁজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ জনে। লঞ্চডুবির ঘটনায় মাওয়ায় স্থাপিত পুলিশের কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থাপক শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মজিবুর রহমান শনিবার রাতে বলেন, বর্তমান ১২০ জনের নিখোঁজ তালিকার অন্তত ৪৯ জন জীবিত। এদের অনেকেই পিনাক-৬ লঞ্চেই ছিল না। সে হিসেবে এখন নিখোঁজের সংখ্যা ৭১ জন।
তিনি বলেন, ‘আমি নিখোঁজ তালিকায় নাম উঠা সব যাত্রীদের স্বজনদের সঙ্গে আজ কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি যে নিখোঁজ এসব যাত্রীদের ৪৯ জনই জীবিত আছেন।’