আল্লাহর কসম, আমরা হারিনি : মাশরাফি

Mashrafiসুরমা টাইমস ডেস্কঃ তিনটা আউট নিয়ে সন্দেহ আছে। অনেকে আবার আম্পায়ারদের ভারতের পক্ষ নেয়ার গন্ধও পাচ্ছেন। সেজন্যই কি ম্যাচ শেষে কেঁদেছিলেন মাশরাফি?
মাশরাফির বাবা আলী মুর্তজা বললেন, ‘ছেলেটা কান্না থামাতে পারতেছে না। বার বার হাউ মাউ করে ঢুকরে ঢুকরে কাঁদতেছিল। রিয়াদ বলল ড্রেসিং রুমে নাকি বার বার ফ্লোরে শুয়ে যাচ্ছিল। কারো কোথায়ই কান্না থামাচ্ছিল না। বার বার জড়িয়ে ধরছিল সতীর্থদের । বিশেষ করে তরুণ তাসকিন কে। আমার সাথে ভালো করে কথাও বলতে পারল না ছেলেটা। আমি জানি ও অনেক কান্না করবে সেজন্যই ওকে ফোন দিয়েছিলাম। ছোট খাটো গেইম হেরে গেলেই ও কাঁদে আর আজতো কোয়ার্টার ফাইনাল।’
সাধারণ হার হলে হয়তো মেনে নেয়া যেত। একে তো কোয়ার্টার ফাইনাল। তার উপর আম্পায়ারদের এমন পক্ষপাতিত্ব স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিতে পারেননি মাশরাফি। তার বাবা বললেন, ‘আমার সাথে কথা বলতে পারলো না ভালো করে তবে বার বার বলতেছিল “আব্বা বিশ্বাস কর আল্লাহর কসম বাবা আমরা হারি নাই.। আমাদের হারিয়ে দেয়া হয়েছে। আব্বা আমরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছি কিন্তু টাকা আর শক্তির কাছে আমরা হেরে গিয়েছি। ব্যাস এই টুকুই, কথা হলো ওর কথা শুনে আমার বুক ফেটে কান্না আসলো নিজেকে ছোট মনে হলো। মনে হলো আমি এক অসহায় বাবা। আমার জীবনের সব চেয়ে কষ্টের দিন আজ। দেশবাসীর কাছে অনুরোধ আমার ছেলে কে ভূল বুঝবেন না।’
সুরেশ রায়নাকে ৬৫ রানে আউট করার পর সতীর্থদের কাছে গিয়ে তাদের একটু উচ্চকন্ঠে কিছু একটা বলছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। রিপ্লেতে সেসময় মাশরাফির একদম কাছাকাছি দেখা গেল উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ আর সৌম্য সরকারকে। সেই বিশেষ মুহুর্তে মাশরাফির অভিব্যক্তির স্থিরচিত্র ম্যাচ শেষ হওয়ার পর “মাশরাফির কান্না” হিসেবে অভিহিত করছে কিছু গণমাধ্যম!