বাংলাদেশ নিয়ে পৃথক দপ্তর খোলার নির্দেশ মোদির

modiসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময়ই বাংলাদেশ নিয়ে নানা মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।ভারত থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের বিতাড়িত করে দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন মোদি। অবশেষ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর সরকার গঠন না করতেই “বাংলাদেশি” নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পৃথক একটি দপ্তর খোলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ‍পদে নিয়োগ পাওয়া নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রনব মুখার্জির চিঠি পাওয়ার আগের দিন সোমবার নয়া দিল্লিতে এই নির্দেশ দেন মোদি।মঙ্গলবার কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বর্তমান এ খবর দিয়েছে।
পত্রিকাটির প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিদের নিয়ে মোদির কড়া অবস্থান যে নিছক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নয়, তা বোঝাতে মোদি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে ডেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন।
মোদি এ সময় স্বরাষ্ট্র সচিবকে ‘বাংলাদেশি’ অনুপ্রবেশ নিয়ে একটি ব্লু প্রিন্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজেপির বরাত দিয়ে পত্রিকাটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে একটি পৃথক বিভাগ ও দফতর খোলা হবে। ওই দফতরের প্রধান দায়িত্ব হবে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা মতো রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঠেকানোর রূপরেখা ও অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা। একইভাবে পাঞ্জাব, রাজস্থান ও কাশ্মিরে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশ রোধ করা এই দফতর খোলার উদ্দেশ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী দিনে অনুপ্রবেশ নিয়ে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে মোদি সরকারের যে প্রবল বিরোধ সৃষ্টি হতে চলেছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের সাহায্য ছাড়া কেন্দ্র একা অনুপ্রবেশ-বিরোধী অভিযান করতেই পারবে না। সুতরাং ভোটের আগে মমতা যা বলেছেন, তা সম্পূর্ণ সত্যি। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে মোদি সরকার অনুপ্রবেশ নিয়ে বিরাট কোনো সক্রিয়তা দেখাতে পারবে না।