ওসমানীতে হামলাকারী ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিচার দাবিতে নার্সদের কর্মবিরতি
![nurses](http://surmatimes.com/assets/resources/uploads/2014/05/nurses-400x236.jpg)
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ইন্টার্ন সেবকের (ব্রাদার) উপর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন নার্সরা (সেবক ও সেবিকারা)। হামলার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে তারা সোমবার কর্মবিরতি পালন ছাড়াও ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। হামলার ঘটনায় ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হামলার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে ইন্টার্ন নার্সরা ক্লাস বর্জন করে এবং হাসপাতালে সেবাদান থেকে বিরত থাকে। দুপুরে তারা হাসপাতালের নিচতলায় জড়ো হয়ে হামলাকারী ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান এসে তাদেরকে কর্মক্ষেত্রে ফিরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ওই সময় তিনি জানান- হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।
পরিচালকের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর নার্সরা হাসপাতাল ভবনের সামনে এসে ১০ মিনিট মানববন্ধন করে। পরে তারা হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আরো কিছু সময় মানববন্ধন করে। পরে তারা নার্সিং ইন্সটিটিউটে ফিরে যায়। তবে তারা হাসপাতালে রোগীদের সেবাদান বা নার্সিং ইন্সটিটিউটের ক্লাসে অংশ নেয়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়- সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের ৫নং ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসক তোফায়েল আহমদ ও জনির সাথে সেবক পলয়ের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই দুই শিক্ষানবীশ চিকিৎসক পলয়ের উপর হামলা চালান। তারা পলয়কে মারধর করে আহত করেন।
এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের আরো কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক জড়ো হয়ে পলয়ের উপর আরেক দফা হামলা চালান। তাকে উদ্ধার করতে এসে হামলার শিকার হন নার্স নিলা খাতুন, অসীম দে, জাহিরা সুলতানা, জাহিদ ও জাহাঙ্গীর। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সিলেট কোতোয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমান জানান- হামলার খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলার পর হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে তা শান্ত হয়।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান জানান- হামলার ঘটনায় ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে যারা অভিযুক্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নার্সদের তাদের কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল পরিচালক।