প্রেমিকা হাসপাতালে : প্রেমিক শ্রীঘরে
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ প্রেমিক-প্রেমিকার কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে উচ্চস্বরে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন প্রেমিকা। খবর পেয়ে ওই যুবতীর ভাইয়েরা হোটেলে আসেন। শুরু হয় মারামারি। হোটেল কর্তৃপক্ষ সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে প্রেমিক নিজাম আল দীনকে ধরে নিয়ে যায়। পেশায় নকল নবীশ নিজাম আল দীন নগরীর দক্ষিণ সুরমার কামুসানা গ্রামের হাসান আলী ছেলে। অন্যদিকে স্বজনরা ওই যুবতীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাছাড়া শিবিরের রাজনীতিতেও সম্পৃক্ত নিজাম। দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের আইটি বিশেষজ্ঞের কাজ করে আসছেন। ৭/৮টি মামলায় ফেরারী ছিলেন তিনি। কোতোয়ালি থানার উপ-সহকারি পরিদর্শক পঙ্কজ দেব বলেন, ‘রোববার বেলা দেড় টার দিকে নগরীর গার্ডেন ইন হোটেলে ঘটনাটি ঘটে।’
হোটেল কর্তৃপক্ষের খবরে তিনিসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিজাম আল দীনকে আটক করেন। তাকে থানা হাজতে আটকে রাখা হয়েছে এবং মেয়েটি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিতিৎসাধীন রয়েছে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, নর্থইস্ট হাসপাতালের ইন্টার্ণ চিকিৎসকের সাথে তথ্য গোপন করে ৭ বছর ধরে প্রেম করে আসছিল নিজাম। এ নিয়ে ২০১২ সালে একটি মামলাও হয়েছে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে। রোববার আদালতে মামলার হাজিরা দিতে এসে দু’জন হোটেলে একত্রিত হয়। মান-অভিমানের এক পর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে জানান তিনি। ওসি জানান, নিজাম আল দীন শিবিরের আইটি বিশেষজ্ঞ। তাকে ধরার জন্য অসখ্যবার অভিযান চালানো হয়েছে। শুধু,কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলা রয়েছে। সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বলেন, ওই যুবতী নগরীর দক্ষিণ সুরমার নর্থইস্ট হাসপাতালের ইন্টার্ণ চিকিৎসক। তিনি জানান, প্রাথমিক অবস্থায় জানতে পেরেছি, মেয়েটির সাথে নিজাম আল দীনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আগেও এ নিয়ে তার ভাইদের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে।