তিন ঘণ্টা পর নীলাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

full_nilaaসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনের সহযোগী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নারী কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।নূর হোসেনের রক্ষিতা হিসাবে পরিচিত নীলাকে রাত নয়টার দিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। আজ সন্ধ্যা নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউসে গণশুনানি থেকে ফেরার পথে শহরের হাজিগঞ্জ এলাকা থেকে নীলাকে আটক করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছেন।নীলা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলার ।নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। নারায়ণগঞ্জ পুলিশ জানিয়েছেন, নীলাকে রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় সদর থানার হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে থেকে আটক করা হয় এবং তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এর আগে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন জেলা প্রশাসনের সার্কিট হাউজে সুশীল সমাজের লোকজনদের গণশুনানীতে অংশ নেয় নীলা। সেখান থেকে বেরিয়ে একটি নোয়া মাইক্রোবাসে করে সিদ্ধিরগঞ্জ যাওয়ার পথে তাকে আটক করা হয়।
নূর হোসেনের সহযোগী হিসাবে নীলাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে অনেক মুখরোচক গল্প চালু আছে। নূর হোসেন সুন্দরী নীলাকে নিয়ে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলসহ অনেক হোটেলেই রাত যাপন করেছেন।
তিন ঘণ্টা পর নীলাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ
নীলাকে নিয়ে নূর হোসেন বিদেশেও সময় কাটিয়েছেন।গ্রেপ্তারের কয়েক দিন আগে ঢাকাটাইমসের সঙ্গে এ নিয়ে নীলা কথাও বলেছেন। তাতে তিনি উল্টো নূর সোহেনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন। তবে নূর হোসেনের সঙ্গে রাত যাপন এবং নূর হোসেনেরর কারণে স্বামীকে তালাক দেয়া এবং নূর হোসেনের সঙ্গে বিদেশে ভ্রমনের কথাও তিনি অকোটপটে স্বীকার করেছেন।
এর আগে নূর হোসেন পালিয়ে যাওয়ার পর নীলা অভিযোগ করেন, আমাকে নূর ব্যাপক নির্যাতন করতো। তার হাত থেকে বাঁচতে থানায় অভিযোগ করতে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। উল্টো পুলিশের ধমক খেয়েছি। শুধু তাই নয় নূর হোসেনের ভয়ে স্বামীকেও তালাক দিয়েছেন নীলা।
নাসিক ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা বলেন, ‘কাউন্সিলর নূর হোসেনের ‘রক্ষিতা’হইনি বলেই সব হারিয়ে আজ আমি নিঃস্ব। নূর ও তার সাঙ্গোপাঙ্গদের অব্যাহত হুমকি আর অপপ্রচারে এখন শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আমি। সাজানো গোছানো সংসার ভেঙেছি, প্রাণপ্রিয় স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছি।’
নির্মম ও বর্বর সাত হত্যাকাণ্ডে ব্যথিত-মর্মাহত উল্লেখ করে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেছেন কাউন্সিলর নীলা। তিনি বলেন, ‘আমি তখন চিকিৎ্সার জন্য বাবা-মাসহ ভারতে। বিষয়টি ফোনে জেনেছি। কারা অপহরণ-খুন করেছে তা জানতে পারিনি। তবে ভারতে থাকাকালে নূর হোসেন বারবার ফোন করে আমার অবস্থান জানতে চেয়েছে। এমনকি কোথায় উঠেছি তার ঠিকানাও। এ সময় আরও বলেছে, তুমি থাক আমি আসছি। এবার ভারতে গিয়ে তোমাকে আর বাংলাদেশে আসতে দেব না। ভারতেও নূর হোসেনের ব্যাপক প্রভাব চিন্তা করে কাউকে না জানিয়ে আমি দ্রুত টিকিট কেটে ২৮ এপ্রিল দেশের উদ্দেশে রওনা দেই। এদিনও নূর তার ব্যক্তিগত ফোন থেকে আমার সঙ্গে বারবার কথা বলেছে। কারণ আমি নূরের নজরের বাইরে গেলেই অনেকটা পাগলের মতো আচরণ শুরু করত। ভাবত আমি হয়তো কারো সঙ্গে চলে যাচ্ছি বিয়ে করছি। সে কখনই চাইত না আমি কারো সঙ্গে কথা বলি। হাসিখুশি থাকি। আমার ব্যক্তিস্বাধীনতা নয় বরং পুতুল করে রাখতে চাইত সে। আমাকে সে বিয়ে করবে না আবার কাউকে বিয়েও করতে দেবে না।’
নীলা বলেন, ‘দেশে থাকি আর বিদেশে থাকি প্রতিদিন সে একাধিকবার ফোন দিত আমাকে। ২৮ তারিখের পর থেকে সে আর ফোন দেয়নি। এখন বেঁচে আছে না মারা গেছে, বিদেশে পালিয়ে গেছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আছে সে প্রশ্ন নারায়ণগঞ্জবাসীর মতো আমারও।’
তিনি বলেন, ‘আমি নূরের চোখে সুন্দরী, আর এটাই আমার অপরাধ। এজন্য আমার জীবন এখন অভিশপ্ত। নূর হোসেনের কুনজরে পড়ে সর্বস্বান্ত আমি। এলাকার প্রায় সবাই আমাকে নূরের স্ত্রী হিসেবে জানলেও আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক-অধিকার নেই। স্বামীর জীবন রক্ষা ও সন্তান যেন বাবাহারা না হয়, সেজন্য জীবনের বিনিময়ে ‘সূক্ষ্ম’চাতুরী করতে হয়েছে দীর্ঘদিন।’
হোটেল শেরাটনে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাতযাপন এবং একইসঙ্গে ভারত সফর প্রসঙ্গে কাউন্সিলর নীলা বলেন, ‘তখন আমার মেয়ের বয়স পাঁচ বছর। তাকে দার্জিলিংয়ের একটি স্কুলে ভর্তিও প্রয়োজনে ভারত যাওয়া হয়। ভর্তির সময় নূর হোসেন আমার সন্তানের অভিভাবক হিসেবে স্বাক্ষরও করেন। তবে তার আরেক বন্ধুর ফ্যামিলির সঙ্গে যাওয়ার কারণে পাশাপাশি রুমে থাকলেও কোনো অঘটন ঘটেনি। আর হোটেল শেরাটনে রাতে থাকলেও আলাদা ছিলাম দু’জন। আমি খাটে ঘুমিয়েছে আর নূর হোসেন সোফায়। কারণ জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে মদ খেয়ে ওই রাতে মাতাল ছিল নূর হোসেন।’
বিয়ে না করেও গোপনে কোনো স্থানে একসঙ্গে যাওয়া-থাকা উচিত হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে নীলা বলেন, ‘নূর কথা দিয়েছিল সে শুধু আমাকে দেখবে, কিছু চাইবে না। সত্য বলতে কী আমার মতো মেয়ে নূর হোসেনের মতো লোককে পছন্দ করার মতো কিছু নেই। ৫৪ বছর বয়সের পুরুষকে ২৭ বছরের মেয়ের পছন্দ করার কথা নয়। আর নূরের অর্থবিত্তের প্রতিও লোভ ছিলনা আমার। এছাড়া এলাকার সম্পর্কে নূর হোসেনকে ‘চাচা’ ডাকতাম আমি।’
নীলা আরও বলেন, ‘নূরের সঙ্গে আমার তেমন সখ্য ছিল না। বাবা হাজী আবদুল মোতালেবের রাজনীতির সুবাদে (৩০ বছর ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি) পরিচয়। ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর যোগাযোগ বাড়ে। এ সময়ই তার লোলুপ দৃষ্টি পড়ে আমার ওপর। নানা কৌশলে পরিকল্পনা আঁটে আমাকে ‘রক্ষিতা’করার। নূর হোসেন ‘প্যানেল মেয়র’ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে তার ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে আমাকে চিহ্নিত করে। আমাকে প্রচারণায় নামিয়ে লবিয়িং করায়। আমি তাকে (নূরকে) ফ্রি ভোট দিলেও অন্যদের একেকটি ভোটের বিপরীতে ৫ থেকে ১৯ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়েছে নূর। যদিও এক ভোটের ব্যবধানে পরাজয় ঘটেছে নূরের। অথচ নূরের খপ্পরে পড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল মেয়রপ্রার্থী আমার উকিল বাবা নজরুল কাকার (নিহত কাউন্সিলর নজরুল) বিপক্ষে ছিলাম। প্যানেল মেয়র নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকেই ‘নূর চাচা’প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ‘গা’য়ে পড়তে শুরু করে। আমার বাবা হাজী আবদুল মোতালেব, স্বামী আবু সায়েমসহ আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও সখ্য গড়ে তোলে। না চাইলেও নানা ধরনের সহযোগিতার চেষ্টা করেন। সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যাওয়ার আগে বাড়ির সামনের রাস্তায় গাড়িসহ দাঁড়িয়ে ফোন করে একসঙ্গে নিয়ে যেতেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রার্থীদের সাক্ষাতের দিন পৃথক গাড়ি পাঠিয়ে আমাকে বঙ্গভবনে এনেছিল নূর। এর নেপথ্যের কারণ ছিল আমি যেন কারো পক্ষেরই না হয়ে (শামীম ওসমান কিংবা আইভী রহমানের) শুধু তার (নূরের) পক্ষেই থাকি। নূরের ইচ্ছা ছিল নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের এমপি-মেয়র হওয়া। নূর হোসেন প্রায়ই অহঙ্কার নিয়ে বলতেন, শামীম ওসমান- আইভীর চেয়ে আমি অনেক বেশি টাকার মালিক। জনপ্রিয়তা নয়, এখন টাকা থাকলেই সব হয়। নমিনেশন-ভোট কেনা যায়। আমার টাকার গন্ধে এমপি, ডিসি, এসপি, র‌্যাব, সার্কেল এসপি, ওসি, এসআইসহ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ক্যাডাররা ঘুরঘুর করে। অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ না করে উল্টো চামচামি করে।’
একদিন নূর হোসেন বলেই বসলেন তুমি কখন আসতে চাও বলো। নূর হোসেনের এই প্রস্তাবের প্রতিবাদ করে বলি আপনি আমার চাচা। বয়সের পার্থক্য দ্বিগুণ। এছাড়া স্বামী-সন্তান নিয়ে সূখের সংসার আছে আমার। কী প্রয়োজনে আপনার সঙ্গে সম্পর্ক করব। প্রতিবাদের পর আমি নূরের ফোন ধরা বন্ধ করে বাড়িতে চলে আসি। বাইরে বেরুনো একদম বন্ধ করে দেই। এ সময় নূর তার সহযোগী আরিফুল হক হাসান ও শাহজাহানকে বাড়িতে পাঠায়। একবারের জন্য হলেও নূর হোসেনের ফোন ধরতে বলেন। এ সময় নূর হোসেন ফোন করে বলেন, নীলা তুমি আমার সম্পর্কে জানো। যা বলি তার চেয়েও বেশি করি। আমার কথা না শুনলে এবং কাছে না এলে বড় বিপদ হবে তোমার। তুমি স্বামীকে আর তোমার সন্তান হারাবে বাবাকে। এখন ভেবে সিদ্ধান্ত নাও তোমার স্বামী সন্তানের ভবিষ্যত কোনদিকে দেবে।’
নীলা আরও বলেন, ‘এসব ঘটনার মধ্যেই নূর তার সাঙ্গোপাঙ্গদের দিয়ে এলাকায় নানা অপপ্রচার ছড়াতে থাকে। এক সময় এলাকার মানুষের মুখে মুখে রটে যায় নূর হোসেন নীলাকে গোপনে বিয়ে করেছে এমন গুজব। বিষয়টি আমাকে বড় দুশ্চিন্তায় ফেলে। স্বামীসহ পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করি। কিন্তু ইতোপূর্বেই নূরের ঘোষণা দেয়া ‘স্ত্রী পরিচয়’-এর কারণে আমাকে আপনজনরাও অবিশ্বাস করতে থাকে। আমার বিপদে পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো নানা ধরনের যন্ত্রণা দেয়। আমাকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে। এরপর আমি আবারো নূরের বিভিন্ন প্রস্তাবের প্রতিবাদ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করি। এবার আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে নূর হোসেন। একদিন ফোনে বলেন, তিনদিনের মধ্যে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে হবে। নইলে তোমার প্রিয় সন্তানের মুখ থেকে আজীবনের জন্য বাবা ডাক বন্ধ হয়ে যাবে। নিরুপায় হয়ে আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু পরক্ষণেই চিন্তা করি— নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের হাজার হাজার মানুষ নূর হোসেনের নির্যাতনের শিকার। মানসিক-শারীরিকভাবে অনেকেই পঙ্গু। বিচার চাইতে গিয়ে হামলা-মামলায় এলাকাছাড়া। আমি বিচার চাইতে গেলে পরিণাম হয়তো আরও ভয়াবহ হবে। কারণ থানা পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ ক্ষমতাধররাও নূর হোসেনের কেনা ‘গোলাম।’ এজন্য কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি না করে বরং মেয়ে যেন বাবাহারা না হয় সেদিক বিবেচনায় নিয়ে সাজানো গোছানো সুখের সংসার তছনছ করি। স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনি। এরপরও আমি নূর হোসেনকে বিয়ে করিনি। তবে ইচ্ছার বাইরে নূরের সঙ্গে কথা বলেছি, দেখা করেছি। বিভিন্ন সময় নানা ধরনের জিনিসপত্র কিনে বাসায় পাঠিয়েছে নূর হোসেন। একদিন হঠাৎ করেই ৩২ লাখ টাকা দিয়ে একটি এলিয়ন গাড়ি কিনে ড্রাইভারসহ বাসায় পাঠিয়েছে। যদিও তা ফেরত পাঠিয়েছি।
এছাড়া আমার নামের জমিতে বাড়ি তৈরির সময় কিছু ইট-সিমেন্ট-রড কিনে দিয়েছে নূর হোসেন। আর যতটুকু দিয়েছে তার চেয়ে বেশি ঢাকঢোল পিটিয়েছে। যাতে সবাই সত্যি মনে করে যে, আমি তার স্ত্রী। ফলে এখন এলাকার ছেলে বুড়োসহ কাউকেই আর বিশ্বাস করানো যাবেনা আমি তার স্ত্রী নই। অথচ সিটি করপোরেশনের ১ কোটি টাকা দরের এক ঠিকাদারি কাজ এবং ২ কোটি টাকা মূল্যের সয়াবিন মিল ও তেলের গোডাউন বিক্রির কমিশন বাবদ আমার পাওনা ছিল ৩৫ লাখ টাকা।’
প্রসঙ্গত জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুব মহিলা লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নীলার শিক্ষাজীবন ছিল নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ, সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতি মোহন পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।