সিলেটে বাদী অপহরন কালে গনপিটুনী খেয়ে পালিয়েছে পুলিশ

Police Transferডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেটে মামলার বাদীকে অপহরন করতে গিয়ে বরযাত্রীদের গনপিটুনী খেয়ে পালিয়েছে পুলিশ ও আসামীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর পাটানটুলাস্থ বৈরাতি কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা।
জানা গেছে, নগরীর মিরাবাজারের রাসেল আহমদের সাথে স্ত্রী তাহমিনা রশীদ খানের দাম্পত্যবিরোধ রয়েছে। তাহমির রশিদ খান নগরীর চৌকিদেখী রংধনু ১৬৩নং বাসার খায়র হারুনুর রশিদের মেয়ে। এ বিরোধের জের ধরে ১৯ জানুয়ারী রাসেলকে জিন্দাবার আল-হামলা শপিংসিটির সামন থেকে গাড়িতে তুলে অপহরন করে তাহমিনার ভাই রুমানুর রশিদ খান মুন্না ও তার সহযোগিরা। স্থানীয় লোকজন চৌহাট্ট এরাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় অপহৃত রাসেল বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় রুমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় পলাতক রুমান বৃহস্পতিবার (৪ফেব্রুয়ারী) পুলিশের সহায়তায় বৃুহস্পতিবার ফের রাসেলকে অপহরনের চেষ্টা চালায়। রাসেল ওইদিন সন্ধ্যায় নগরীর পাটানটুলাস্থ বৈরাতি কমিউনিটি সেন্টারে একটি বিয়ের অনুষ্টানে ছিলেন। এ সময় রুম্মান দুটি নোহা গাড়ি করে ১০/১২জনের একদল সন্ত্রাসী নিয়ে সেন্টারের প্রবেশ করে। পাশাপশি এসএমপির শাহপরান থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একদল পুলিশও সেন্টারে গিয়ে রাসেলকে ধরে আনতে চায়। এসময় বিয়ের অনুষ্টানে থাকা বরযাত্রী ও কনেপক্ষের লোকজন পুলিশকে প্রশ্ন করলে পুলিশ জানায় রাসেলের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে। কিন্তু ওয়ারেন্ট বা মামলার কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। তখন ক্ষুব্দ বরযাত্রীরা ‘মার মার’ বলে পুলিশকে গনপিটুনী দিতে শুরু করলে রুমানরা গাড়ি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে বরযাত্রীরা পুলিশদলকে ছেড়েদিলে তারাও ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বস্তুতঃ শাহপরান থানায় রাসেলের বিরুদ্ধে কোন মামলা ও ওয়ারেন্ট ছিল না। পক্ষান্তরে রুম্মানুর রশিদ খান মুন্না একাধিক ছিনতাই অপহরন ও ডাকাতি মামলার আসামী। শাহপরাণ থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাকসহ পুলিশদল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাসেলকে উঠিয়ে সন্ত্রাসী রুম্মানদের হাতে তুলে দিয়ে চেয়েছিল। কিন্তু বরযাত্রীদের গনপিটুনী খেয়ে পুলিশ ও সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান ।
এসএমপির শাহপরাণ থানার অফিসার ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন জানান, এসআই আব্দুর রাজ্জাক ওয়ারেন্টের আসামী ধরতে জালাবাদ থানাধীর পাঠানটুলায় অভিযানে গিয়েছিলেন বলে তাকে জানিয়েছেন। তবে কার বিরেুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল তা তাকে জানান নি।
জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেন জানান, ওয়্যারলেস বার্তায় তাকে জানিয়ে ওয়ারেন্টী আসামী ধরতে শহপরান থানার একদল পুলিশ পাঠানটুলায় গিয়েছিল। তবে কোন আসামী ধরতে পরেছে কি না তা তার জানা নেই।