অনিয়মের অভিযোগে বাসিয়া নদী খনন কাজ বন্ধ

photoতজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথঃ বিশ্বনাথে বাসিয়া নদীর সীমানা নির্ধারণ ছাড়াই নামমাত্র খনন করায় উপজেলার কারিকোনা গ্রামবাসী সীমানা নির্ধারন না করা পর্যন্ত নদী খনন কাজ করতে বাঁধা প্রদান করেছেন। ফলে বাঁধার মুখে গতকাল বুধবার দুপুর থেকে বন্ধ রয়েছে খনন কাজ। সুরমা নদীর শাখা নদী ‘বাসিয়া’ এক সময় প্রচন্ড খড়স্রোতা ছিল। কালের বির্বতনে পাহাড়ি ঢল ও পলি মাঠি মিশ্রিত পানিতে ভরাট হতে থাকে বাসিয়ার তলদেশ। বিশ্বনাথবাজার এলাকায় নদীতে বর্জ্য ফেলে ভরাট করে দেয়া হয়েছে নদীর স্বাভাবিক গতি পথ। সাথে সাথে ভূমি দূস্যুরা দখল করে নিয়েছে নদীর দুই তীর। গড়ে তুলেছে শত শত অবৈধ স্থাপনা। নদীর উপর ভূমিখেকোরা নির্মম অবিচার করলেও স্থানীয় প্রসাশন রয়েছে নির্বিকার। ফলে পানির অভাবে কৃষকদের সেচকাজ মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী কারিকোনা এলাকায় বাসিয়া নদী খনন কাজ গতকাল বুধবার সরেজমিন গেলে দেখা যায়, কারিকোনা গ্রামের শতাধিক লোক নদী পাড়ে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে, গ্রামবাসীর তোপের মুখে নদীতে ৩টি খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) রেখে শ্রমিকরা চলে যায়। এসময় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। এসময় কারিকোনা গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি মঈনউদ্দিন অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলাবাসীর সাথে আমরাও দীর্ঘদিন ধরে নদীর সীমানা নির্ধারন করে খননের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্ত খনন কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে সংশ্লিষ্ঠ অসাধু কর্মকর্তারা একটি মহল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে সীমানা নির্ধারন না করে খনন কাজ করছে। তারা আরো বলেন, নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে আমাদের রেকর্ডীয় জায়গা খনন শুরু করে। এতে আমাদের গ্রামের চলাচলের রাস্তা, কবরস্থান ও গাছ-পালা কেটে ফেলা হচ্ছে। তাই আমরা সীমানা নির্ধারন না করা পর্যন্ত আমাদের সীমানায় খনন কাজ করতে আপত্তি জানিয়েছি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী বলেছেন, নদী খনন হলে পানি থাকবে সারা বছর কৃষকরা সেচ সুবিধাসহ বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করতে পারবে। নদী খননে বাঁধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনিয়ম এবং সীমানা নির্ধারণ না করে নদী খনন করায় বাঁধা দেয়া হয়েছে বলে শুনেছি। সীমানা নির্ধারণ করে সুষ্ঠ কাজ করলে কেউ বাঁধা দিবেনা বলে আমি বিশ্বাস করি।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনামনি চাকমা সাংবাদিকদের বলেন, এলাকাবাসী আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্ত এখানে আমার কিছু করার নেই। তিনি বলেন, পাউবোর পক্ষ থেকে খনন কাজ শুরুর পূর্বে আমার সাথে একবার যোগাযোগ করা হলে আমি তাদেরকে সীমানা নির্ধারন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সহযোগীতার আশ্বাস দেই। কিন্ত এরপর তারা আমার সাথে এবিষয়ে কোন যোগাযোগ করেনি।