নবীগঞ্জে ভুমিহীন পরিবারকে বাড়িঘর ভেঙ্গে উচ্ছেদ করেছে দূর্বৃত্তরা

গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন

pic bumihin Nabiনবীগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের বড় সাকোয়া গ্রামের নিরীহ ভুমিহীন দুলাল চন্দ্র দাশ ও তার পরিবারকে বাড়িঘর ভাংচুর,লুটপাট করে এক কাপড়ে গ্রাম থেকে বিতারিত করেছে একদল দূর্বৃত্ত ও সমাজপতিরা। এ ঘটনাটি ঘটে গত ২রা এপ্রিল বিকালে। এরপর থেকে অসহায় দুলাল দাশ স্ত্রী,সন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নীচে,কখনও অন্যের বারান্দায় মানবেতর জীবন যাপন করে আসছেন। এছাড়া দূর্বৃত্তরা ভুমিহীন দুলাল দাশের দখলীয় বাড়িতে মাটি কুড়ে পুকুর দিয়েছে বলে জানাগেছে।
জানাযায়,বড় সাকোয়া গ্রামের অসহায় ভুমিহীন দুলাল দাশ প্রায় ১৫ বছর পুর্বে বড় সাকোয়া মৌজাস্থ সরকারের খাস খতিয়ানের ৩৭০৬ নং দাগে ১০ শতক ভুমির বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করে ঘর নির্মাণ করে স্ত্রী সন্তানদেও নিয়ে বসবাস করে আসছিল। এরই মধ্যে একই এলাকার তাপশ রায়,তপন জ্যোতি রায় ও টিংকু রায়সহ একদল দূর্বৃত্ত দুলাল দাশকে ভিটে ছাড়ানোর জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে। তারা সরকারী জায়গা থেকে তাকে উচ্ছেদ করার জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উচ্ছেদ মামলা নং-০৩/০৯ইং দায়ের করে। বিগত ২৩/১০/২০০৯ইং তারিখে অপর এক আদেশে উচ্ছেদ মামলা স্থগিত করা হয়। এরপরই নানা অজুহাতে অসহায় পরিবারকে মারপিট করাসহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি দুলাল দাশের ছেলে রাজু দাশ এর বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউনিয়ন অফিসের নৈশ প্রহরীকে মারপিট করার অভিযোগ উঠলে দুলাল দাশ তার ছেলে রাজুকে পুলিশে ধরিয়ে দেন। এবং ঘটনার সাথে সংশি¬ষ্ট থাকলে ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। কিন্তু এই অজুহাতে উপরোক্ত লোকজনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একদল দূর্বৃত্ত জোরপূর্বক অসহায় ও ভুমিহীন ওই পরিবারকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। এবং ঘরের আসবাব পত্র,কাপড়সহ প্রায় ১২ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে তারা ক্ষান্ত হয়নি ওই ভুমিহীন পরিবারকে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। দু’দিন স্থানীয় টুকের বাজারে গাছ তলায় খোলা আকাশের নীচে ও জনৈক ব্যক্তির বারান্দায় মানবেতর জীবন যাপন করে আসছেন। বর্তমানে তাদের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে নবীগঞ্জ শহরে একটু আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষের দ্বারে দ্বারে অবুঝ বাচ্চা সূর্য দাশ(৮),মেয়ে সাথী রানী দাশ (১৪),স্ত্রী ছায়া রানী দাশ (৩৮)কে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার দখলীয় বসত বাড়িঘর ভাংচুর করে মাটি কেটে পুকুর দিয়েছে। মানবাধিকার চরমভাবে লংগন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। এ ব্যাপারে অসহায় ভুমিহীন দুলাল দাশ জেলা প্রশাসক,মানবাধিকার সংগঠনসহ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।