দেশ পরিচালনা করছেন বিজিবি, পুলিশ এবং র‌্যাবের প্রধান : কর্নেল অলি

Colonel Oliলিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, বর্তমান সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন তিন ব্যক্তিÑ বিজিবি প্রধান, পুলিশ প্রধান এবং র‌্যাবের প্রধান। তারাই এখন প্রকাশ্যে জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যমে গুলি চালানোর হুকুম এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি মনে করি তাদের এ ধরনের বক্তব্য অনাকাঙ্কিক এবং উষ্কানীমুলক। ফলে হয়তো সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। আন্দোলন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। কারণ এখন আন্দোলনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে দেশের সাধারণ মানুষ ও ২০ দলীয় জোটের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে জাতিসংঘ যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাতে আমি একজন স্বাধীনতা যুদ্ধের সৈনিক হিসেবে সাধুবাদ জানাই। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ এবং সমগ্র পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষ বাংলাদেশের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ গণগ্রেফতার নির্যাতনসহ সামাজিক বিশৃঙ্খলা অতীতে সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বিষয়টি নিয়ে সবাই শঙ্কিত ও আতঙ্কিত।
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ আজ তার প্রেস সেক্রেটারি সালাহ উদ্দিন রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, আগুনে ঘি না ঢেলে বিশৃঙ্খলা না বাড়িয়ে সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন।
কর্নেল অলি বলেন, তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল তখন সরকারি দল হিসেবে বিএনপি ৩০ মে ১৯৯৬ সংসদ ভেঙে দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল। কারণ দেশের ক্রান্তিলগ্নে সরকারি দলকেই বেশি ভূমিকা পালন করতে হয়। আমি আশাকরি আমাদের সকলের উচিত উষ্কানীমুলক বক্তব্য থেকে বিরত থেকে সমস্যা সমাদানের পথ বের করা, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা।
তিনি আরো বলেন, সব সময় বিরোধী দলের আন্দোলন চলাকালে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনা করে সাধারণ মানুষ হত্যা করে, যার দায় সরকারকেই নিতে হবে। এর থেকে মুক্তি পেতে দরকার সকলের অংশ গ্রহনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। বিজ্ঞপ্তি