এবার ‘বহিষ্কার’ ঝুঁকিতে শমসে মবিন চৌধুরী !

shomsher Mobinসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ ‘বহিষ্কার’ ঝুঁকিতে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী! উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিলেট সদরে তার সমর্থিত প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের শামীমের নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে তিনি ফেঁসে যাচ্ছেন। ওই ঘটনায় একদিকে যেমন স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরাগভাজন হয়েছেন, তেমনি হারাতে বসেছেন হাইকমান্ডের আস্থাও।
দলের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, হাইকমান্ডকে উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ জামাল নুরুল হুদাকে বহিষ্কার করান শমসের মবিন চৌধুরী। হুদার বহিষ্কারাদেশ গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর সিলেটে দলীয় রাজনীতিতে একেবারেই গণেশ উল্টে গেছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যাবধানে শাহ জামাল নুরুল হুদার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সমর্থন দেয়া হয়।
কিন্তু তা মানতে পারছেন না শমসের মবিন চৌধুরী। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে কাহের শামীমের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন তিনি। দলীয় সমর্থকদের কাছে শমসের মবিন চৌধুরী দাবি করছেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়া শামীমকে সমর্থন দিয়েছেন। গোটা পরিস্থিতিতেই বিভ্রান্তিতে রয়েছে বিএনপি সমর্থক এবং ভোটাররা। দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন লাভের পর শাহ জামাল নুরুল হুদা ভোটারদের বিভ্রান্তি দূর করতে বেশ কয়েক দফা শামীমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্ত তাকে না পেয়ে শামীমের ছোট ভাইকে নুরুল হুদা বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দলীয় সমর্থন দিয়েছেন। আমি চাই উনিও (শামীম) আমাকে ছোট ভাই হিসেবে সমর্থন ও সহযোগিতা করবেন।’
জবাবে শামীমের ছোট ভাই মামুন বলেন, ‘ভাই এলে আমি তা বলবো, কিন্তু রাখা না রাখা উনার ব্যাপার।’
আগামী ২৩ তারিখ সিলেট সদরে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাকি আছে আর মাত্র কত ঘণ্টা। কিন্তু শামীমের সহযোগিতা না পেয়ে হাইকমান্ডের দ্বারস্থ হন নুরুল হুদা। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটের বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়া পাকা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে বহিষ্কার হতে হবে। এ ব্যাপারে শমসের মবিন চৌধুরী শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সময় নিয়েছেন।’
শমসের মবিন চৌধুরীর মোবাইলে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।