সবসময় পাশে থাকার অঙ্গীকার রিক্তার

হলুদের পর্ব শেষ, এবার বিয়ের পালা

r rikta2 riktaসুরমা টাইমস ডেস্কঃ অবশেষে বরবেশে দেখা গেল রেলমন্ত্রী মুজিবুল হককে। আজ বুধবার রাজধানীর খামারবাড়িতে মন্ত্রীর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হয়।বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে এই অনুষ্ঠান।গায়ে হলুদের সময় মন্ত্রীর গলায় ছিল সোনালী জরির কাজ করা লাল উত্তরীয়। গায়ে সোনালী পঞ্জাবি। আগামী শুক্রবার কুমিল্লায় বিয়ের পর্ব শুরু হবে।
বেশি বয়সে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও হাস্যরসে যেন কোন অংশেই পিছিয়ে নেই সাতষট্টি বছর বয়সী এই ‘যুবক’। কনে হনুফা আক্তার রিক্তা আলাদা একটি মঞ্চে বসা,মুখে লাজুক হাসি।
কুশল বিনিময়ের এক পর্যায়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বললেন, “আমি নেত্রীর (শেখ হাসিনা) কাছে গতকালও দোয়া নিয়ে এসেছি। তিনি আমাকে দোয়া করেছেন যাতে বিয়ের সব অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে হয়।”
“আমার নেত্রী দোয়া করার পর দলীয় নেতারা সবাই খুশি, দেশবাসীও খুশি, এর কারণ দেশের মানুষ আমাকে স্নেহ ও মমতা করে।” পাত্রপাত্রী দুজনেরই বাড়ি কুমিল্লায়। সেখানে শুক্রবার বিয়ের জন্য আয়োজন চলছে পুরোদমে।
হলুদের পর্ব শেষ, এবার বিয়ের পালা
হলুদ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা হবু স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে একসঙ্গে করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের পরিবার ও রিক্তাদের পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একসঙ্গে হলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।”
“রিক্তা এসেছে তার পরিবার নিয়ে একটি মঞ্চে বসেছে, আমি আমার আত্মীয় স্বজন নিয়ে আরেকটি মঞ্চে বসেছি।”
এর আগে বুধবার দুপুর ১টার দিকে খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে উপস্থিত হন বর রেলমন্ত্রী। কনে হনুফা আক্তার রিক্তাও ততক্ষণে চলে এসেছেন। পরনে হলুদ শাড়ি আর ফুলের গহনা।
বর-কনের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে আলাদা মঞ্চ। বর ও কনের নাম লিখে বড় আকারের দুইটি কেকও ছিল মঞ্চের সামনে। আয়োজন করা হয়েছে প্রায় ৫০০ জনের দুপুরের খাবার। রেলমন্ত্রীর নিজের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। আর পাত্রী হনুফা আক্তার রিক্তা কুমিল্লার চান্দিনার মেয়ে।
মুজিবুল হক আগেই জানিয়েছেন, পাত্রী মাস্টার্স পাস, আইনের ডিগ্রিও আছে। তার সঙ্গে পরিচয় বছর তিনেক আগে। সেই সূত্রেই বিয়ে।
বিয়ের পর বৌভাতের আয়োজন করা হয়েছে আগামী ১৪ নভেম্বর শুক্রবার। অনুষ্ঠান হবে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরের এলডি হলে।
এছাড়া ১৬ নভেম্বর কুমিল্লায় নিজের এলাকায় আলাদাভাবে বধূ বরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১৯৪৭ সালের ৩১ মে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মুজিবুল। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি।
কুমিল্লা-১১ আসন থেকে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালে। শেখ হাসিনার গত সরকারের শেষ দিকে ২০১২ সালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এবারও রেলপথের দায়িত্ব তাকেই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সবসময় স্বামী রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন হবু বধূ হনুফা আক্তার রিক্তা। বুধবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন হনুফা। অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে হবু বধূ হনুফা আক্তার রিক্তা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘আমি সব সময় তার পাশে থাকবো। তাকে সহযোগিতা করবো।’’ এ সময় তিনি সকলের দোয়া চাইতেও ভুল করেননি। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’’
হলুদ অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক নতুন বিবাহিত জীবনের জন্য সকলের দোয়া চেয়ে বলেন, আরো আগে অর্থাৎ সঠিক সময়ে বিয়ে করলে যে উৎসাহ, উদ্দীপনা পেতাম বেশি বয়সে বিয়ে করে তার চেয়ে আরো বেশি উদ্দীপনা পাচ্ছি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আমাকে ভালবাসে, আর তাই আমার এই বিবাহে তারা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা পেয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দোয়া করেছেন। তিনি দেশের মানুষের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যেন আমাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয়।