হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্য : বিশ্বনাথে শীতলী পূজায় নারী-পুরুষের ঢল

photo1বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ সিলেটের বিশ্বনাথে বিপুল উৎসাহ-উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার শীতলী পূজা শুরু হয়েছে। প্রতিবছর বাংলা চৈত্র মাসের পহেলা তারিখ শুরু হয় পূজা। শেষ হয় পুরো ৩০ দিন পর। খাজাঞ্চি ইউনিয়নের তেলীকোনা গ্রামের দক্ষিণে শীতলী বাড়িতে এ পূজার আয়োজন করেন স্থানীয় সনাতন হিন্দুধর্মালম্বীরা। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা, থানা, উপজেলা ও ভারত থেকে পূর্নাথীরা আসেন পূজায়।
হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতি বছর পালন করা হয় শীতলী পূজা। পূজা উপলক্ষে আনন্দ-উৎসব চলে পুরো মাস। এতে বিশ্বনাথ উপজেলার সনাতন ধর্মালম্বী ছাড়া পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর, ছাতক, বালাগঞ্চ, ওসমানীনগর উপজেলার শত শত মানুষ অংশ গ্রহন করেন। হিন্দু-মুসলমানের মিলন মেলায় পরিণত হয় এ মেলা।
মেলায় আসা পূর্ণার্থী নিয়তি রানী পাল বলেন, প্রতি বছর শীতলী পূজায় মানত নিয়ে আসেন। এতে তিনি উপকার পান। তার সঙ্গে আরো দু’জন আত্বীয়ও এবার পূজায় এসেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মহিবুর রহমান বলেন, হিন্দুদের পূজা হলেও মুসলমানেরা সব সময় তাদের পূজায় সহযোগিতা করে আসছেন।এখানে হিন্দু-মুসলমানের কোন ভেদাভেদ নেই। পূজা উপলক্ষে হিন্দু-মুসলমানের মিলন মেলায় পরিণত হয়।
ছোট শিশু তানিয়া আক্তার ইমা বলে, আব্বুর সঙ্গে এসে পুতুল, গাড়ি, হাওয়ার মিঠাই, কিনেছি। আমার ভাল লাগে পূজায় আসতে তাই এবারও এসেছি।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার বিভাংশু গুণ বিভু বলেন, পুরনো ঐহিত্য। মাস ব্যাপী পূজায় দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ পূজায় আসে। পূজা আরো বড় আকারে পূজা করার জন্য তিনি সরকারীভাবে সহযোগিতা করার জন্য সরকারের কাছে জোরদাবী জানিয়েছেন।
শীতলী পূজার সেবক বিদ্যা ভূষন চক্রবর্তী বকুল বলেন, মূলত এ পূজা মেয়ে লোকের জন্য। তারা মন ভাবনা পূরনের জন্য এখানে নিয়ত করে কবুতর, হাঁস, মোরগ, ডিম, কলা নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, এ পূজা প্রায় হাজার বছরের পুরনো। পূজায় সিলেট ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গার লোকজন আসেন।