সোনাগাজীতে বৃদ্ধাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, আটক ২

26ff4b3350651fcae451749198497761-5716db90456a8ডেস্ক রিপোর্টঃ ফেনীর সোনাগাজীতে বৃদ্ধ নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বাসার সামনে সবজি চাষকে কেন্দ্র করে গত রবিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় চরদরবেশ আদর্শ গ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পের হতদ্ররিদ্র বৃদ্ধ নারী ওহিদা খাতুন (৬৭) কে বিবস্ত্র করে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর মঙ্গলবার রাতে পুলিশ অভিযুক্ত আক্তার হোসেন সবুজ (৪০) ও তার স্ত্রী শাকুরা বেগম (৩০) কে আটক করেছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবীর আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ঘটনার পরেই নির্যাতিতার ছেলে বেলাল হোসেন স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দেন। তবে এসআই জিল্লুর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য চাপ দেন বলে বেলাল সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
পরে সামাজিক গণমাধ্যমের সুবাদে ফেনীর পুলিশ সুপারের নজরে বিষয়টি এলে, অবশেষে তার নির্দেশে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্যাতনকারীদের আটক করে পুলিশ। বৃদ্ধার ছেলে বেলাল হোসেন বলেন, চরদরবেশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই জিল্লুর রহমান জড়িতদের গ্রেফতার না করে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার জন্য চাপ দেয়। তার এই ধরনের ভূমিকা রহস্যজনক।
অন্যদিকে, এসআই জিল্লুর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগকারী ও নির্যাতনকারীরা সামাজিকভাবে মধ্যস্থতার কথা নিজেরাই বলেছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গ্রামবাসীরা জানায়, বাসার সামনে সবজি আবাদ করার অভিযোগ এনে ঘটনার দিন সকাল ১১টায় বৃদ্ধ ওহিদাকে ঘর থেকে টেনে বের করে গায়ের কাপড় খুলে নিয়ে তা দিয়ে পেছন থেকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্মমভাবে তার ওপর নির্যাতন চালান সবুজ ও তার স্ত্রী শাকুরা। ঘটনাটি এলাকার শত শত মানুষ দেখলেও কেউ তাদের ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাননি।
গ্রামবাসীর অভিযোগ করেন, সবুজের বাড়ি পাশ্ববর্তী নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় হলে তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্ত্রীর নামে ঘর বরাদ্দ নিয়ে শশুর বাড়ির এলাকায় বসবাস করছেন। তার নামে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ৪ থেকে ৫টি মামলা ছাড়াও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার শ্যালকের কাছে থাকতেন। এ ছাড়া জলদস্যু বল্ট বাহিনীর সদস্য হিসেবে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত তিনি।
ফেনীর পুলিশ সুপার রেজাউল হক বলেন, এই ধরনের অমানবিক নির্যাতনকারীরা যত বড় ক্ষমতাধর হোক, তাদের কোনওভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের গ্রেফতারের পর বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে এবং তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র।