বিদ্রোহ সামালের আগেই জেলার নতুন সভাপতিসহ ১৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি ঘোষনার পর বিদ্রোহ সামাল দেওয়ার আগেই পুলিশের নজর পড়ল তাদের উপর। বিভিন্ন মামলায় পুলিশ তাদেরকে এমন অবস্থায় গ্রেফতার করলো যে সময় নতুন কমিটি নিয়ে ছাত্রদলে চলছে তুমুল বিরোধ। নতুন জেলা সভাপতি সাঈদ আহমদসহ ছাত্রদলের ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ দলের ভেতরকার বিদ্রোহ অনেকটা থামিয়ে দিলো বলে মনে করছেন সাধারণ নেতাকর্মীরা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই ও মিরবক্সটুলা এলাকা থেকে কোতয়ালী ও বিমানবন্দর থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার রাতে ককটেল বিস্ফোরণ ও শুক্রবার সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে সাইদকে প্রাণ কোম্পানীর গাড়িতে লুটপাটের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এবং অন্যদের ভাংচুরসহ পূর্বের বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশের অপর একটি সূত্র দাবি করেছে। ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ, ছাত্রদল নেতা ফারুক আহমদ, সুহিন আহমদ চৌধুরী, জিয়াউর রহমান রুমেন, আহমেদ জাকি, মিজান আহমদ ও মাসুম আহমদ। এ ছাড়া মিরবক্সটুলার আলী আকবর রাজন, রাইসুল ইসলাম সনি, ফয়েজ, সাগর, রিপন, আফজাল ও আখতারকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষনার পর পক্ষে বিপক্ষে নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে নগরীতে মিছিল বের করে। ওই মিছিল থেকে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমআ নবগঠিত কমিটির জেলা সভাপতি সাঈদ আহমদ মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীর হাউজিং এস্টেটস্থ বাসায় গেলে সেখানে কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করা বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর সহযোগীতায় তিনি ইলেকট্র্রিক সাপ্লাই এলাকায় যান।
এ খবরে বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা সাপ্লাই এলাকায় পৌঁছলে সাঈদ আহমদের অনুসারীদের সাথে তাদের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে সাবেক মহানগর ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম নাচনসহ ১০ জন আহত হন।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ওসি আসাদুজ্জামান। জেলা ছাত্রদলের এক নেতা জানান, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে অনেকটা বিদ্রোহ সামাল দিয়েছে।