দোষ স্বীকার করে দ্রুত ব্যবস্থা নিন : জাফর ইকবাল

Jafar iqbalসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন করেছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকাল ৯টায় অনশন শুরু হয়। চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। অনশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ রাজধানীর একাধিক স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এসময় তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দোষ স্বীকার করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অনশনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাফর ইকবালের স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক, প্রথম আলোর উপসম্পাদক আনিসুল হক, বুয়েট শিক্ষক সোহেল রহমান, মো. কায়কোবাদ, জোবায়ের মাহবুব প্রমুখ।
জাফর ইকবাল বলেন, প্রশ্ন ফাঁস একটি জাতীয় সমস্যা। এটি করার এত বড় দুঃসাহস কাদের। এটি আগে শনাক্ত করতে হবে। এবং তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কিন্তু বিষয়টি একেবারে প্রকাশ্য দিবালোকের মত সত্য হওয়ার পরও এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়াতো দূরে থাক বরং এটিকে একটি গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি চাই সরকার অবিলম্বে দায় স্বীকার করে দায়ীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’
ড. ইয়াসমিন হক বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি জঘন্য কাজ। এটি অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। এর প্রতিবাদে আমরা যখন আন্দেলন করি তখন মিডিয়া তেমন কভারেজ দেয় না। আমরা চাই মিডিয়া যাতে এসব কর্মসূচিকে আন্তরিকতার সঙ্গে প্রচার করে। এতে করে দেশ ও জাতি এসব বিষয়ে সচেতন হবে এবং ভবিষ্যতে এ রকম জঘন্য কাজ কমে যাবে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে একটি অনিশ্চিত ব্যবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অসংখ্য জিপিএ-৫ ধারী শিক্ষার্থী বাড়ছে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষিত জনশক্তি বাড়ছে না। এসবের সঙ্গে শুধু যারা ছাপে তারাই নয় যারা মূল্যায়ন করে তারাও জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- শিক্ষামন্ত্রীকে অবিলম্বে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা স্বীকার করে এর দায়-দায়িত্ব নিতে হবে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে, চলতি এইচএসসি পরীক্ষা এবং ভবিষ্যতের যে কোনো পাবলিক পরীক্ষাতে যেন প্রশ্ন ফাঁস না হয় সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এসময় তারা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামী এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন স্কুল কলেজে গণসংযোগ করা হবে। এর মধ্যে যদি সরকার তাদের দাবিগুলো না মানে তবে আগামী শুক্রবার সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করা হবে।