দুলাভাইয়ের হাতে শ্যালক খুন মামলা দায়ের-আটক ৩ জন কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের পাঠানটুলায় দুলাভাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্যালক খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ প্রধান আসামী ছাড়া ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এঘটনায় গতকাল বুধবার দুপুরে মহানগরের জালালাবাদ থানায় নিহতের বাবা আব্দুল খালিক মেয়ের জামাই এনামুল কবিরকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অন্য আসামিরা হলেন এনামুলের বাবা-মা ও মামা।
এর মধ্যে ঘাতক এনামের পিতা হুশিয়ার আলী, মাতা রুকিয়া বেগম এবং মামা আলা উদ্দিনকে আটক করেছে জালালাবাদ থানা পুলিশ। গতকাল দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের মধ্যে এনাম ছাড়া অন্য তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনামকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এছাড়া আনোয়ারের মরদেহের ময়না তদন্ত শেষে বেলা ২টার দিকে লাশ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। লাশ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের আনুজানি যান। বিকেলে লাশের জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে আনোয়ারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে নগরের মদিনা মার্কেট এলাকার পাঠানটুলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে আনোয়ার হোসেন (২২) নামের যুবককে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে খুন করে তারই ভগ্নীপতি এনাম।
নিহত আনোয়ার সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার আনুজানি গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে। তিনি এমসি কলেজে বিএ পাসের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পল্লবীতে বোনের বাসার পাশেই ৪৩ নম্বর বাসায় তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
মামলার প্রধান আসামি ছাতকের আসামপুর গ্রামের বাসিন্দা এনামুল কবিরের সঙ্গে নিহত আনোয়ারের বোন নাজনিনের বিয়ে হয়। এনাম বর্তমানে নগরীর পল্লবী এলাকায় বি-৩৯নং বাসায় বসবাস করেন এরআগেও এনাম আরো দুটি বিয়ে করে বলে জানা গেছে। যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নাজনিনকে প্রায় মারপিট করতেন এনামুল কবির। ঘটনার দুই দিন আগে আনোয়ার তার দুলাভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বোনকে তাদের বাসায় নিয়ে যান।
এর জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনোয়ারকে পল্লবী এলাকার ক্লাবঘরের সামনে ডেকে এনে এনামুল কবির তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে প্রাইভেটকার নিয়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত আনোয়ারকে একজন পান দোকানিসহ দুজন ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।