তারাপুর চা-বাগান উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু-রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাইকে জেলা প্রশাসনের নোটিস

2স্টাফ রিপোর্টার :: রাগীব আলীর দখলীকৃত তারাপুর চা-বাগান উদ্ধারে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে তার ছেলে আবদুল হাইসহ অন্যদের নোটিস দিয়েছে সিলেটের জেলা প্রশাসন। নোটিসে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার জবাব তিন দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। অপর একটি নোটিশে তারাপুর চা-বাগানে আবাসিক, অনাবাসিক ও বাণিজ্যিক সব স্থাপনার তালিকা জরুরি ভিত্তিতে চাওয়া হয়েছে সহকারী কমিশনারের কাছে। নোটিশ দুটিতে সিলেটের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মুহা. মাছুম বিল্লাহ সই করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নোটিস দেওয়ার মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে দখল করা তারাপুর চা-বাগান উদ্ধারে উচ্চ আদালতের রায়ের নির্দেশনা অনুসারে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হলো। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গত সোমবার ০৫.৪৬. ৯১০০.০০৮.০৩৫.০৬১.১১-৬২০নং স্মারকে রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাই গংকে এ নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশ পাঠানো হয় আবদুল হাইয়ের ঢাকার গুলশানের রোড নং-৭৬ হাউস নং-৬ ঠিকানায়।
নোটিসে বলা হয়েছে, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দায়েরকৃত ১৬৩/২০০৯নং সিভিল আপিল মামলায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ তারাপুর চা-বাগান সংক্রান্ত কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা পত্র প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।
এদিকে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গত মঙ্গলবার ০৫.৪৬.৯১০০.০০৮.০৩৫. ০৬১.১১-৬২৭ (২) নং স্মারকে সিলেট সদর সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পৃথক নোটিশ পাঠানো হয়। এই নোটিশে বলা হয়েছে, আপিল বিভাগের দায়েরকৃত ১৬৩/২০০৯নং সিভিল মামলায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ চা-বাগান সংক্রান্ত কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। বর্ণিত রায় বাস্তবায়নে ওই চা-বাগানের ভেতরকার আবাসিক/ অনাবাসিক/ বাণিজ্যিক স্থাপনার তালিকা জরুরি ভিত্তিতে প্রণয়নপূর্বক পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হল।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ১৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তারাপুর চা বাগানের লিজ প্রদান অবৈধ বলে রায় দেন। একইসঙ্গে ৬ মাসের মধ্যে তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে নির্মিত রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনা অপসারণ, ফের চা বাগান স্থাপন, সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৯ টাকা ২০ পয়সা এবং ওই বাগান থেকে চা রফতানি বাবদ আয়ের ৫ কোটি টাকা সেবায়েতের কাছে ফেরত প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এমনকি রায়ে দেবোত্তর সম্পত্তি ইজারা অবৈধ, রিটকারীর সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ, বাগানের খালি জায়গায় দেবি স্থাপনের কাজ এক মাসের মধ্যে শেষ করাসহ ১৭ নির্দেশনা দেন আদালত।