ছেলের কবরের সামনে কাঁদলেন খালেদা জিয়া
ডেস্ক রিপোর্টঃ যথাযোগ্য মর্যাদায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে কোকোর কবর জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, শীতবস্ত্র বিতরণ, আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটির নেতাকর্মীরা। দুপুরে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ছেলের কবর জিয়ারত করতে যান বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এসময় কবরের সামনে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কোকোর কবরের পাশে প্রায় ৪৫ মিনিট অবস্থান করে ফাতেহা পাঠ ও তসবিহ পড়েন। এরপর মোনাজাতে শরিক হন খালেদা জিয়া।
এসময় প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর শ্বশুর-শাশুড়ি, খালেদা জিয়ার বড় বোন, ভাইয়ের ছেলে, ভাগ্নে, মহিলা দলের নেতাকর্মীরা মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের সভাপতি আবদুল মালেক।
এদিকে রাজধানীর গুলশানস্থ বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবন ও কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল, কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় কোকোর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা।
এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বাদ আসর নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবন মিলনায়তনে কোকোর স্মরণে আলোচনা সভা ও তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, রিজভী আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালামসহ ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে আলোচনা সভা ও কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কোকো ক্রীড়া সংসদ এবং স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে বনানীতে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন মির্জা আলমগীর।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪শে জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন আরাফাত রহমান কোকো।