রাজনীতিতে ফিরছেন না সোহেল তাজ

suhel taj hasinaডেস্ক রিপোর্টঃ মহাজোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আর সংসদ সদস্যপদ ছাড়ার পর দেশেই থাকেননি জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ। অনেকটা অভিমান করেই সরকার আর রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেন তিনি। আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানেও সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে রাজি হননি মৃদুভাষী এই নেতা।

শনিবার হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সোহেল তাজের আবেগঘন সাক্ষাতের খবর ও ছবি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর কানাঘুষা চলছে, অভিমান ভুলে কি আবার রাজনীতিতে নামছেন সাবেক এই সংসদ সদস্য?

একই প্রশ্ন করে এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চেয়েছিল ঢাকাটাইমসও। কিন্তু সোহেল তাজ ওই কানাঘুষা উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, “আমি রাজনীতিতে আসছি বিষয়টি পুরোপুরি সত্য নয়।”

সোহেল তাজের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, আপতত রাজনীতি নয়, বাবা ও মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘তাজউদ্দীন আহমদ ও জোহরা তাজউদ্দীন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’-এর ব্যানারে সামজিক কর্মকা-ের মাধ্যমে নিজেকে সক্রিয় রাখতে চান সোহেল তাজ। দু-তিন দিন পর আমেরিকা ফিরে যাবেন। পরে সময়-সুযোগমতো আবার দেশে ফিরবেন।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং ’৭৫-পরবর্তী দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের কা-ারি দলের সভাপতিম-লীর সাবেক সদস্য জোহরা তাজউদ্দীনের সমৃদ্ধ রাজনৈতিক জীবনের ওপর ভিত্তি করে ধানমন্ডির ৭৫১ সাতমসজিদ রোডে তাদের বাড়িতে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেখানেই এ ফাউন্ডেশনের কার্যালয় থাকবে।

এ বিষয়ে এই প্রতিনিধিকে সোহেল তাজ বলেন, “বাবা-মায়ের নামে একটি ফাউন্ডেশন চালানোর বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। তিনি আমাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।”

আওয়ামী লীগের একটি সূত্র দাবি করছে, দলে সক্রিয় হতে সোহেল তাজকে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সোহেল তাজের বোন সিমিন হোসেন রিমি এই প্রতিনিধিকে বলেন, “বৈঠকটি একেবারেই ঘরোয়া। সোহেল দীর্ঘদিন পরে দেশে ফিরেছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। এর বাইরে আর কিছুই নয়।”

দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করার পর গত ১৩ জানুয়ারি দেশে আসেন সোহেল তাজ। এরপর শনিবার রাতে মেজ বোন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি আর ছোট বোন মাহজাবিন আহমেদ মিমিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গণভবনে যান সোহেল তাজ।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের সাক্ষাতের ছবি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিপুল সাড়া ফেলে।

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন সোহেল তাজ। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে তার বাবার নির্বাচনী এলাকা গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর আওয়ামী লীগের গঠিত সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। কিন্তু কয়েক মাসের মাথায় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে বিদেশ চলে যান তিনি। পরে দেশে ফিরে সংসদ সদস্যপদও ছাড়েন। এরপর র্দীঘদিন প্রবাসে কাটান সোহেল তাজ। মাঝে কয়েক দিন দেশে ঘুরে গেলেও রাজনীতি থেকে দূরেই থাকেন এই নেতা।