সিলেটের ডাক’র সাংবাদিক তাজ উদ্দিনের উপর ছাত্রদল ক্যাডারদের হামলা : আটক ৩

taj-uddin-under-attack
ফার্মেসির মালিক শাহ আলমের স্ত্রী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছেন ওসি আতাউর রহমান। ইনসেটে আহত সাংবাদিক তাজ উদ্দিন।

সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নগরীর মিরবক্সটুলায় সাংবাদিকের উপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রদল ক্যাডাররা। হামলায় গুরুতর আহত দৈনিক সিলেটের ডাক’র উপ প্রধান প্রতিবেদক মো. তাজ উদ্দিনকে তার সহকর্মীরা উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। হামলার হাত থেকে তাজউদ্দিনকে উদ্ধার করতে গিয়ে কয়েস আহমদ নামের এক অটোরিকশা চালকও আহত হয়েছেন। ছুরিকাহত অবস্থায় তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় এ ঘটনা ঘটে। 
তাজউদ্দিনের উপর হামলার খবর পেয়েই তৎক্ষনাত ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা। তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পুলিশের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আধ ঘন্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করে নিলেও হামলার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেফতারে ২৪ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দেন সাংবাদিকরা।
পুলিশ জানিয়েছে- হামলাকারীরা চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর গ্র“পের ক্যাডার বলে জানায় পুলিশ। এলাকাবাসীও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা প্রতিদিন মিরবক্সটুলা এলাকায় ছিনতাই করে থাকে।
জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক তাজউদ্দিন তার অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে মীরবক্সটুলাস্থ উইমেন্স হাসপাতালে যান। চিকিৎসা শেষে আসার সময় হাসপাতালের সামনের শাহরিয়ার ফার্মেসীতে পাওনা টাকা আনতে যান তাজউদ্দিন। ফার্মেসী মালিক শাহ আলম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দু’জন বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। বাদানুবাদের একপর্যায়ে শাহ আলম, তার স্ত্রী ও ফার্মেসীর কর্মচারীরা তাজউদ্দিনের উপর হামলা চালান। এসময় ফার্মেসীর সামনে আড্ডারত আকাশ, সনি, রণি সহ ছাত্রদলের ৮-১০ জন ক্যাডার সংঘবদ্ধভাবে তাজউদ্দিনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাজউদ্দিনের মাথা ও নাক থেতলে দেয় সন্ত্রাসীরা। মারধরের একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন তাজউদ্দিন। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে অটোরিকশা চালক কয়েস আহমদ সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। তার বুকে ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা।
সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফার্মেসীর মালিক শাহ আলমের স্ত্রী, শ্বশুর ও ছাত্রদল ক্যাডার রনিকে গ্রেফতার করে। তবে সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেন, মূল হামলাকারীরা হামলার পরও ফার্মেসীর ভেতরে ছিলো। পুলিশ তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করেছে। এ ব্যাপারে কতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, হামলাকারীরা চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও ছাত্রদল ক্যাডার। শাহারিয়ার ফার্মেসীর সামনে এই সন্ত্রাসীরা প্রতিদিন আড্ডা দিয়ে থাকে। ওসি বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারেরও চেষ্টা চলছে।