ভারতের পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি নিউইয়র্কের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত
হাকিকুল ইসলাম খোকন, বাপসনিউজ:আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি নিউইয়র্কের উদ্যোগে গত ২৬ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস্থ পপুলার ড্রাইভিং ¯কুলে উজানে ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। খবর বাপসনিউজ। আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি নিউইয়র্কের চেয়ারম্যান ও সংগঠক আতিকুর রহমান সালু এর সাপতিতে এবং পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান আতা। সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটি নিউইয়র্কের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার, কমিউনিটি নেতা এম এ সিদ্দিক পললব, সংগঠক ও এক্টিভিস্ট কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, আমেরিকান প্রেস ক্লাব অব বাংলাদেশ অরিজিন সভাপতি ও সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, এক্টিভিস্ট মাইনুল ইসলাম মুহিত ও খান শওকত প্রমুখ। প্রতিবাদ সভায় আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি নিউইয়র্কের চেয়ারম্যান ও সভার সভাপতি আতিকুর রহমান সালু, সভায় প্রস্তাবলী পাঠ করেন। প্রস্তাবলী হচ্ছে- বাংলাদেশের উজানে ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে আয়োজিত এ প্রতিবাদ সভা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণকে মানবতা বিরোধী বলে বিবেচনা করে এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছে। উলেলখ্য ১৯৭৫ সালে ফারাক্কা বাঁধ কমিশন করার পর থেকে ভারত এক তরফাভাবে বাংলাদেশের উজানে এবং হিমালয় অববাহিকায় শত শত সেচসৌধ নির্মাণ করেছে। অন্যদিকে আন্তঃ নদী সংযোগ প্রকল্প গ্রহণ, সিলেটের উজানে বরাক নদীতে বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প কার্যক্রম গ্রহণ এবং তিস্তা নদীর উজানে গজল ডোবা বাঁধ সহ সর্বত্র এক তরফা ও অন্য্যভাবে বঁাঁধ নির্মাণ করার ফলে বাংলাদেশের সকল নদ-নদী, ডোবা-নালা শুকিয়ে কাঠ। ওজু, গোসল, প্রার্থনা, এমনকি রান্না-বান্না, ঘর-গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করার জন্য এবং পান করার পানি পর্যন্ত পাওয়া দুস্কর। গবাদি পশু পান করার পানি পাচ্ছে না। চারিদিকে মরুভূমি এবং কারবালার আহাজারি।
কেবল ১৯৭৬ সালে ৫ বছর মেয়াদী ফারাক্কা চুক্তি বাদ দিলে বিগত প্রায় ৪২ বছরে এযাবতকালে যারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল এবং আছে তারা যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে নাই, এটাই ইতিহাসের সত্য।আজ সকল বিভেদ-বিভাজন ভুলে দল-মত-নির্বিশেষে বাংলাদেশের নদী-পানির অধিকার রক্ষায় গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতের এ অন্যায় অবিচার ও পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। একই সাথে ভারতের বিবেকবান জনগণ, বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদ সহ সকলেই এ বিষয়ে বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়াবে, এটাই আমাদের বিশ্বাস।