বিয়ানীবাজারের তিন বন্ধুর একসঙ্গে আর ইউরোপ যাওয়া হলো না

rubel, rahel and javedসুরমা টাইমস ডেস্কঃ একই সঙ্গে ইউরোপের দেশ বেলারুশে যাওয়া হলো তিন বন্ধু রুবেল আহমদ, এমরান হোসেন রাহেল ও জাবেদের। ইউরোপের পরিবর্তে তাদের দুই বন্ধু পাড়ি জমিয়েছে না ফেরার দেশে। আরেক বন্ধুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বেঁচে আছেন, কী মারা গেছেন তা জানতে পারেনি তাঁর পরিবার। বিয়ানীবাজার পৌর শহরের ফতেহপুর গ্রামের এই তিন বন্ধুর পরিবারে চলছে শোকের মাতম। একটি মর্মাত্নিক সড়ক দুর্ঘটনাই শোক সাগরে ভাসিয়ে পুরো গ্রামটিকেই।
নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ইউরোপের দেশ বেলারুশে একসঙ্গে পাড়ি দেওয়ার বাসনা ঢাকার উদ্দেশে রোববার রাত ৩টার দিকে বাড়ি থেকে মাইক্রোবাসে করে তিন বন্ধু জাবেদ, রুবেল ও রাহেল রওয়ানা দেন। হবিগঞ্জের মাধবপুর যাওয়ার পর তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় পড়ে। ঘটনাস্থলে রুবেল এবং মাধবপুর হাসপাতালে নেওয়ার পর রাহেল মারা যান। এ দুর্ঘটনার পর থেকে জাবেদ আহমদকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বেঁচে আছেন কী মারা গেছেন তা কিছুই জানা যায়নি। দুর্ঘটনার পর থেকে তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন ঢাকা মেডিকেলসহ ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী এলাকার হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে খোঁজ করলেও রাত ৯টা পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান মেলেনি। হাইওয়ে পুলিশের উদ্ধারকৃত লাশের মধ্যে জাবেদকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি সারা দিন সচল ছিল। ফোনে এক ব্যক্তি কথা বললেও কোনো পরিচয় দিচ্ছে না। সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। সঙ্গে থাকা ব্যাগসহ অন্যান্য জিনিসেরও হদিস মিলছে না। এদিকে নিহত এমরান হোসেন রাহেল ও রুবেল আহমদের লাশ সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।