গাছের নিচে পাকা তাল কুড়ানোয় মাদ্রাসার ছাত্রকে পেটালেন কলেজ শিক্ষক
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ১০নং ভাটরা ইউনিয়নের জাফরনগর গ্রামে মোঃ আসিক (১২) নামের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেছেন স্থানীয় দল্টা কলেজের প্রফেসর মোঃ আবু তাহের। প্রফেসরের বেধড়ক পিটুনির পর আসিক মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার সকালে জাপরনগর গ্রামের মোল্লা বাড়ির সামনে। সৃষ্ট ঘটনায় আসিকের মা আছমা আক্তার বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আসিকের মা আছমা আক্তার ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ১০নং ভাটরা ইউনিয়নের জাফরনগর গ্রামের হাজী বাড়ির মাওঃ মাহফুজের ছেলে মোঃ আসিক বাড়ির পাশ্ববর্তী মোল্লা বাড়ির সামনে খালের পানিতে তাল ভাসতে দেখে সেগুলো নিয়ে বাড়িতে আসার পথে মোল্লা বাড়ির আবু তাহের প্রফেসর আসিককে তাল চোর আখ্যা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় আসিকের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসার পর অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে রামগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। আসিক স্থানীয় জাফরনগর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র।
এ বিষয়ে জাফরনগর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ আবদুল মালেক জানান, আসিককে এভাবে মারধরের ঘটনা অত্যান্ত দুঃখজনক। এধরনের ন্যাককার ঘটনার জন্য প্রফেসর আবু তাহেরের বিচার হওয়া উচিত। আর গাছের নিচে পাকা তাল কুড়ে পেলে যে পায় তার মালিক সে নিজেই। আসিক তাল নিয়ে যাওয়াটা কোন অপরাধ বা দোষের কিছু করেনি।
সৃষ্ট ঘটনায় দল্টা কলেজের প্রফেসর মোঃ আবু তাহের জানান, আমি তাকে মারিনি। তবে ধমক দিয়েছি। ধমকের কারনে সে অসুস্থ হয়েছে কিনা জানিনা। এর চেয়ে বেশী কিছু জানি না। আর এটা পারিবারিক সমস্যা। একটা ইস্যু তৈরি করে আমাকে ফাসাঁনোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ লোকমান হোসেন জানান, বিষয়টি আমি জানি না। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর)