আদালতে স্বীকারোক্তি : ভাই কামরুলের উপর দোষ চাপালো মুহিত
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যার জন্য ভাই কামরুল ইসলামের উপর দোষ চাপিয়েছে মুহিত আলম। আজ আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে রাজনকে হত্যার জন্য কামরুলকে দায়ী করে মুহিত বলে, কামরুলের নির্দেশেই সে রাজনের লাশ গুম করার চেষ্টা করছিলো। জবানবন্দিতে নিজে রাজনকে মারধর করেনি দাবি করে মুহিত জানায়, কামরুলের মারধরেই রাজনের মৃত্যু হয়।
বুধবার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের বিচারক আনোয়ারুল হকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে মুহিত আলম। ৮ জুলাই রাজনের লাশ গুমকালে কুমারগাও এলাকা থেকে তাকে হাতেনাতে আটক করেছিলো জনতা।
মুহিতের আগে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে নির্যাতনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা দুলাল মিয়া, ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ, নির্যাতনকারী ময়না চৌকিদার ও প্রত্যক্ষদর্শী আজমত ও ফিরোজ।
মুহিতের জবানবন্দির বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার বলেন, রাজনকে খুঁটির সাথে বেঁধে মুহিতের মোবাইল ফোনে কল দেয় কামরুল। খবর পেয়ে মুহিত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় কামরুলসহ কয়েকজন মিলে রাজনকে মারধর করছে।
একপর্যায়ে রাজন অচেতন হয়ে পড়ে। তখন রাজনকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যেতে ময়না চৌকিদার ও মুহিতকে নির্দেশ দেয় কামরুল। মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাজন মারা গেলে লাশ গুম করতে মোবাইল ফোনে নির্দেশ দেয় কামরুল। কিন্তু লাশ গুম করার আগেই জনতার হাতে ধরা পড়ে যায় মুহিত। আর পালিয়ে যায় ময়না চৌকিদার।
সুরঞ্জিত তালুকদার জানান- মুহিত তার জবানবন্দিতে দাবি করেছে সে রাজনকে মারধর করেনি। তবে ভাইয়ের নির্দেশে লাশ গুম করার চেষ্টা করে সে অপরাধ করেছে। মুহিত নিজের অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তার জবানবন্দি থেকে নির্যাতনে জড়িত ছিল এমন আরও কয়েকজনের নাম প্রকাশ পেয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করেননি তদন্ত কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলীর কুমারগাঁওয়ে চোর অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে খুন করা হয় ১৩ বছরের শিশু রাজনকে।