১৫ হাজার টাকায় পুরুষাঙ্গ কেটে বানানো হচ্ছে হিজড়া ! (ভিডিওতে দেখুন)

hijraসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ পুংলিঙ্গ কেটে বানানো হচ্ছে হিজড়া। দেহাকৃতি হিজড়ার মতো হলেও তাদের অধিকাংশই এক সময় সাধারণ মানুষ ছিল। কিন্তু লিঙ্গ কর্তনের মধ্য দিয়ে হিজড়ার খাতায় নাম লেখায়। রাজধানীর শ্যামলী, ঢাকা জেলাধীন ধামরাই ও খুলনার ফুলতলায় কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিকে পেশাদার ও ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের দিয়েই পুংলিঙ্গ কেটে হিজড়া তৈরি করা হয়। এসব ক্লিনিক যেন এক একটি হিজড়া তৈরির কারখানা। হিজড়া নামের আড়ালে লিঙ্গ কর্তন করা হাজার হাজার পুরুষ ঢাকাসহ সারাদেশে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, খুন-খারাবিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, কোন চক্রের খপ্পরে পড়ে বা স্বেচ্ছায় লিঙ্গ কর্তনকারী হিজড়াদের সঙ্গে অপরাধীদেরও যোগসাজশ রয়েছে। হিজড়া পরিবারের কাছে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের শিকার এলাকার লোকজনও তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে। ফলে এরা একবার যখন বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে, তখন আর ফেরার উপায় থাকে না। এ কারণে বিভিন্ন চক্রের সঙ্গে মিশে যে কোন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। পতিতাবৃত্তির সঙ্গেও তাদের অনেকে জড়িয়ে পড়েছে। লিঙ্গ কাটা হিজড়াদের তাণ্ডবে জন্মগতভাবে পৃথিবীতে আসা হিজড়ারাও কখনওবা অসহায় হয়ে পড়ে। এমন এই ঘটনার খবর জানা গেল নওগাঁর। নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা সদর নজিপুর নতুন হাট এলাকায় আশা ক্লিনিক নামের একটি বেসরকারী ক্লিনিকে রবিবার বেলা ১১ টায় হিজড়া অপারেশনের চেষ্টাকালে (খোজা করনের সময়) পুলিশের হাতে ১ দালাল সহ ২ সেবিককা আটক হয়েছে। জানাগেছে উপজেলা সদর নজিপুর নতুন হাট এলাকার আশা ক্লিনিকের সত্বাধিকারী ময়েন উদ্দীন একজন পল্লী চিকিৎসক। কিন্তু উক্ত ক্লিনিকে সে দীর্ঘ দিন যাবৎ সিজার ও নানা ছোট বড় অবৈধ অপারেশন সহ হিজড়া অপারেশন করে আসছিল। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দালালের মাধ্যমে হিজড়াদের ময়েন উদ্দীন উক্ত ক্লিনিকে নিয়ে এসে অপারেশনের মাধ্যমে তাদের পুরুষাঙ্গ কেটে মেয়ে যৌনাঙ্গে রুপান্তরিত করে দিত। এতে ময়েন উদ্দীন ডাক্তার হিসাবে খরচ বাবদ ১৫/২০ হাজার ও দালালরা ৩/৫ হাজার টাকা নিত বলে আটক দালাল ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরমসলন্দ গ্রামের ডাঃ আব্দুল কাদেরের পুত্র শরিফুল মিয়া (২৮) জানায়। এব্যাপারে পত্নীতলা থানার এস.আই হাবিব ও এ.এস.আই মোস্তাফিজ জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পত্নীতলা থানা পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত মোঃ রফিক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে আশা ক্লিনিক থেকে দালাল শফিকুল সহ উক্ত ক্লিনিকের ২ সেবিকা পত্নীতলা উপজেলা সদর হরিরামপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী ময়না খাতুন (৩৫) ও কুতুরা গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শাবানা খাতুন (৩৫) কে আটক করে। এসময় অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী জানায় পত্নীতলায় অবৈধ ক্লিনিক বেড়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষ এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে। উক্ত আশা ক্লিনিকে দীর্ঘদিন যাবৎ এসব অবৈধ অপারেশন সহ জাল টাকার ব্যবসাও চলতো। সম্প্রতি উক্ত ক্লিনিকে জাল টাকার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালালেও অপরাধীরা পুলিশ আশার আগেই পালিয়ে যায়। এবাদেও উক্ত ক্লিনিকের ডাক্তার ময়েন উদ্দীন সহ তার সহযোগীরা কোন কোন সময় বোরখা পরে গাইনি ডাক্তার সেজেও রোগীদের সাথে প্রতারনা করতো বলেও অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত মোঃ রফিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান অভিযোগের ভিত্তিতে আশা ক্লিনিকে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেছে। এসময় পুলিশ একজন দালাল সহ দুজন সেবিকাকেও আটক করেছে। অবৈধ কাজের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উক্ত ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধের জন্য সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। তথ্যসূত্রঃ বিডিইনডেক্স২৪