সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভা

দেশের সার্বিক অগ্রগতি স্বাধীনতা অর্জনের ফলেই বাস্তবায়ন হয়েছে
———ভাষা সৈনিক প্রফেসর মোঃ আব্দুল আজিজ

sadinota  dibos picভাষা সৈনিক প্রফেসর মোঃ আব্দুল আজিজ বলেছেন, ১৯৭২ সালে স্বাধীনতা লাভের পর স্বাধীন নাগরিক হিসেবে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিলো বছরে ৮২ ডলার। দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে এখন তা ১১৯০ ডলারে উন্নিত হয়েছে। এটা কোনভাবেই চাট্টিখানি কথা নয়। আমাদের দেশের দারিদ্রতার হার ৯২ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে। এসবই হলো আমাদের স্বাধীনতার ফসল। এসকল অগ্রগতি আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের ফলেই বাস্তবায়ন হয়েছে। দেশের অন্যতম প্রাচীন সাহিত্য সংসদ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
গত বৃহস্পতিবার নগরীর দরগাহ গেইটস্থ সাহিত্য সংসদের ৮ম বইমেলা মঞ্চে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাহিত্য সংসদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সাদেক লিপনের পরিচানায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক মানিক আজিজুল হক মানিক। লেখক আলী আকরাম ছাবিতের পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় বক্তব্য রাখেন গল্পকার সেলিম আউয়াল, আনোয়ার হোসেন মিছবাহ প্রমুখ। সভায় দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন গীতিকার সাঈয়িদ শাহীন ও মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন দাদন। উল্লেখ্য, সকাল ১০টায় ২৬শে মার্চ উপলক্ষ্যে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভাষা সৈনিক প্রফেসর মোঃ আব্দুল আজিজ, সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক মানিক, সহ-সাধারণ সম্পাদকত দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধূরী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আব্দুস সাদেক লিপন, কার্যকরী সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের, শফিকুর রহমান চৌধূরী প্রমুখ।
গল্পকার সেলিম আউয়াল বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস আমরা কম বেশি সকলেই জানি। দীর্ঘ ৯মাস সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করি। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করতে হলে আমাদের দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি লাভ করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে প্রত্যেকের মাঝে শতভাগ দেশ প্রেম থাকতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর মোঃ আব্দুল আজিজ আরো বলেন, আমাদের দেশের মেয়েরা একসময় শিক্ষা-দীক্ষার ক্ষেত্রে অনগ্রসর ছিলো। ৩৮ শতাংশ থেকে উন্নিত হয়ে বর্তমানে শিক্ষার হার ৭৮ শতাংশে এসে পৌছেছে। আমাদের দেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট অগ্রগামী। আশ্চর্যজনকভাবে আমাদের দেশ খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অবদান বেশি। আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন একটি দেশ। বিজ্ঞপ্তি