ব্যাপক আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়ে লিভারপুল বাংলা প্রেসক্লাবের “পান্তা ইলিশ উৎসব”
ফখরুল আলম, লিভারপুল (যুক্তরাজ্যে) প্রতিনিধি :- ব্যাপক আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়ে যুক্তরাজ্যের লিভারপুলে বাঙালির প্রাণের মেলা বৈশাখ উৎসব পালিত হলো। বৈশাখ বাঙালি জীবনের সবচেয়ে বড় অসম্প্রাদায়িক উৎসব। তাই এই দিনটি হলো বাঙালির উৎসবের সেরা দিন। আবহমান কাল ধরে বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে বাংলা বর্ষবরণের নানান উৎসব। তারই ধারা বাহিকতায় প্রবাসেও চলছে বর্ষবরণের বর্ণাট্য আয়োজন।
গত বুধবার লিভারপুলের স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে পান্তা ইলিশ আর বাহারী পিঠা পায়েসের এক জম কালো অনুষ্টানের আয়োজন করে লিভারপুল বাংলা প্রেসক্লাব। এ উৎসবে ম্যানচেস্টার, চেষ্টার, ওল্ডহাম, সাউথ পোর্ট, উইরাল সহ নর্থ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহর থেকে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালির অংশ গ্রহনের মধ্যে দিয়ে এই বর্ষবরণ অনুষ্টান মাতিয়ে তোলেন লিভারপুলবাসী। মুলত: বাঙালিরা নিজ দেশের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যকে প্রবাসের মাঠিতে বসে লালন করার জন্য লিভারপুল বাংলা প্রেসক্লাবের প্রথম বারের মতো আয়োজিত এই “পান্তা ইলিশের উৎসব ” এ আসা বলে অনেক অতিথিরা জানান।
প্রেসক্লাব সভাপতি শেখ ছুরত মিয়া আছাব ও সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম এর সঞ্চালনায় অনুষ্টানের শুরুতেই কন্ঠ শিল্পী তাসলিমা আলম জেনি বৈশাখের গান গেয়ে সূচনা করেন। বৈশাখ সর্বজনীন বাঙালির প্রাণের উৎসব। উৎসবে নারী-পুরুষ সহ এ প্রজ¤েœর শিশু কিশোরদের স্বতস্ফুর্ত অংশ প্রহন ছিল। আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখে মনে হলো বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে ছিল না কোন ভেদা ভেদ। ছিল না বর্ণ বৈষম্য। মানুষ মিলে ছিল মানুষে। ডুব দিয়ে ছিল আদিতে। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যের শেকড়ে, তাদের মুখে ছিল বাংলার গান আর চোখে ছিল আনন্দে এক রাশ ঝিলিক। তবু প্রবাসের শত ব্যস্ত জীবনের মধ্যে প্রতেকই বাঙালিয়ানা খারার পান্তা, ইলিশ আর গ্রাম বাংলার পিঠা পায়েস খেয়ে নিজকে একজন বাঙালি বলে গর্ব বোধ করেছেন।
অনুষ্টানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, লিভারপুলের প্রবীন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শেখ দুদু মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছোরাব আলী, নূর হোসেন, গ্রেটার সিলেট ডেভে, ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউ কে এর উইরাল শাখার সভাপতি কয়ছর মিয়া, শামছুদ্দিন এমবিই, সৈয়দ সাদেক আহম্মদ, কোহিনুর মিয়া, কয়ছর আহমেদ চৌধুরী, কবি রফিক, নুর হোসেন, ম.আজাদ, কবি আয়েশা আহমেদ, প্রমুখ।
প্রমুখ।
বাঙালিরা মূলত: ভোজন রশিক। তাই পান্তা / ইলিশ সহ বিভিন্ন পিঠা পায়েস সহ হরেক রকম খাবার অনুষ্টানে আগত অতিথিদেরকে তৃপ্তি দিয়েছে। সুটকী লতা আর সুটকী চাটনী ছিল অন্যান্য খাবারের চেয়ে আরো একটু ভিন্ন স্বাদের।
অতিথিরা এ ধরণের অনুষ্টানের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। তারা আরো বলেন , এ ধরণের অনুষ্টান মূলত: নতুন প্রজ¤েœর শিশু কিশোরদের আগামীতে বাংলা ও সংস্কৃতি শিক্ষার সহায়ক হবে।
অনুষ্টানে নারী-পুরুষের পাশাপাশি শিশু কিশোর, কিশোরীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। উৎসবের অন্যতম আকর্ষন ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্টান ওর্ রাফেল ড্র। যা অনুষ্টানে অংশ গ্রহনকারী সকল অতিথিদেরকে দিয়েছে বাড়তি আনন্দ।