রাজাকার আব্দুল খালেকের কবর না থাকা সত্ত্বেও জিয়ারত করলেন ছেলে জুবায়ের
শাল্লা প্রতিনিধি:: ১৯৭১ সালের পাকবাহিনীর একমাত্র বিশ্বস্থ সহচর ছিলেন রাজাকার আব্দুল খালেক। তিনি পাকবাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে শাল্লা উপজেলার অনেক মা বোনের ইজ্জতের উপর আঘাত আনে। তাই ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মুক্তিবাহিনীর কাছে আব্দুল খালেক নিহত হন। মুক্তিবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়ে তার লাশ কোথায় গিয়েছে তা কেউ জানেনা। সেই রাজাকারের ছেলেরা দাবী করে উপজেলার কলাকান্দি গ্রামে আব্দুল খালেকের লাশ দাফন করা হয়েছে। এমনকি রাজাকারের ছেলে জুবায়ের বুক ফুলিয়ে উচ্চ কন্ঠস্বরে বলেন, আমার বাবা এদেশের রাজাকার ছিল এতে কি হয়েছে। আমি প্রতিবছর এলাকায় আসি বাবার কবর জিয়ারত করার জন্য। আর কলাকান্দি গ্রামেই আমার বাবার কবর । তাই এবছর মত প্রতি বছরই এলাকায় আসব বাবার কবর জিয়ারত করার জন্য। এসময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, আব্দুল খালেক রাজাকারকে শাল্লা সদরস্থ কলাকান্দি নদীরপাড়ে মুক্তিবাহিনীরা হত্যা করেন। তবে তার লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এখানে রাজাকার আব্দুল খালেকের কোন কবর নেই। বাংলার মাটিতে রাজাকারের কোনো স্থান হতে পারে না। এ মাটি বাংলার মানুষের রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা। তাই ত্রিশ লাখ শহীদদের রক্তে গড়া এই বাংলাদেশ। এই দেশে রাজাকারের কবর হিসেবে কেউ দাবী করতে পারবে না। কিন্তু রাজাকারের পুত্র আমেরিকা প্রবাসী জুবায়ের কিভাবে বাংলার মাটিতে রাজাকারের কবর দাবী করে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে হঠাৎ করেই একটি হেলিকপ্টার অবতরণ করে। কে এলো হেলিকপ্টারে চড়ে? এনিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কৌতুল সৃষ্টি হয়। হেলিকপ্টার থেকে তখন মাথায় পাগড়ি, গায়ে সাদা পাঞ্জবী ও সাদা পা জামা পড়া ৩ জন লোক নামেন। তাদের মধ্যে ১জন রাজাকার আব্দুল খালেকের পুত্র জুবায়ের আহম্মেদ।
এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের উত্তরে জুবায়ের আহম্মেদ বলেন, আমার বাবা এদেশের সবচেয়ে বড় রাজাকার ছিলেন, আমি আমার বাবার কবর জিয়ারত করার জন্য প্রতি বছর এখানে আসি। আর আসবোও।