শাল্লায় জরুরী ভিত্তিতে নৌ এ্যম্বুলেস সরবরাহ করা হোক

হাওর বেষ্টিত লক্ষাধিক মানুষের দাবি

ambulance boatবিপ্লব রায় শাল্লাঃ এ্যম্বুলেসের অভাবে নিত্য ভোগান্তির মুখে পড়েছেন সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার মানুষ। উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবার প্রদানের এক মাত্র শাল্লা হাসপাতালটি কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে দিনের পর দিন নিমোজিত হয়ে পরছে। ফলে উপজেলাবাসী সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। উপজেলার যোগাযোগ বঞ্চিত হাওর বেষ্টিত এক অবহেলিত জনপদ। এই উপজেলার স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা আরো বেহাল হয়ে দাড়িয়েছে। জানা যায়, ২০০৫ সালের মে মাসে সরকার ভাটি অঞ্চলের মানুষের জন্য এক্সরে মেশিনের কার্যক্রম চালু করেন। এই হাসপাতালে প্রতিদিন শত শত দরিদ্র রোগী চিকিৎসার জন্য এসে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন। হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, শাল্লার হাওর বেষ্টিত মুমুর্ষ ও দরিদ্র রোগীরা সাধারনত শাল্লা সদর হাসপাতালে এসে থাকেন। আগতদের অধিকাংশই দরিদ্র হওয়ায় বেসরকারী হাসপাতালে যেতে পারেন না। শাল্লার একমাত্র চিকিৎসা সেবার এই সরকারী হাসপাতালে এমএসআর সরবরাহ না থাকায় অধিকাংশ দরিদ্র রোগী বিনা চিকিৎসায় ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি প্রসূতি রোগিদের সেবার অবস্থাও করুন। বর্ষায় চলাচলের জন্য একটি নৌ এ্যম্বুলেস দেওয়া হলেও প্রায় দুই বছর যাবত অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু অনেক সময় আন্তরিকতা, অব্যস্থাপনা ও সংশ্লিষ্টদের বানিজ্যিক চিন্তার কারনে মানুষের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়। এতে মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। জরুরী রোগী পরিবহনে নৌ এ্যম্বুলেস একটি হাসপাতালের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু শাল্লা হাসপাতালের গুরুত্বপুর্ন এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। লক্ষাধিক মানুষের দাবি জরুরী ভিত্তিতে মৌলিক চাহিদার কথা ভেবে অবহেলিত শাল্লায় এ্যম্বুলেস সরবরাহ করা হোক।