ঢাকা মেডিকেল থেকে পালিয়েছে তিন বৃক্ষমানব
ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে পালিয়ে গেছেন রংপুর থেকে আসা তিন বৃক্ষমানব। পালিয়ে যাওয়া সেই তিন বৃক্ষমানব হলেন – বাসেদ আলী (৪৫), তার ছেলে মো. রুহুল আমিন (৮) এবং বাসেদ আলীর ভাই মো. তাজুল ইসলাম (৪৩)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “ওই তিনজনকে হাসপাতালের একটি এসি রুমে থাকতে দেয়া হয়েছিল। তারা এখানে রাজার হালে ছিল। এদের মধ্যে একজন হাঁটতে পারত না। আমার বোনের স্বামীর একটি হুইলচেয়ার ছিল। ওই চেয়ারটি তাকে এনে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কাউকে কিছু না বলে চলে গেছে।”
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা প্রথম বৃক্ষমানব আবুল বাজনদারের আরো একটি অপারেশন করা হবে ৬ এপ্রিলের পর। এখন তার দুই হাতের ড্রেসিং চলছে, যেখানে আগে অপারেশন করা হয়েছে।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের পাঁচ তলার ৫১৫ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন। তার সঙ্গে রয়েছেন মা আমেনা বেগম, স্ত্রী হালিমা খাতুন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, তার শরীরের রক্তটিস্যু যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। ওই রিপোর্ট এখনো এসে পৌঁছায়নি।
আবুল বাজনদারের স্ত্রী হালিমা খাতুন সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমরা এখনো হাসপাতালে আছি। ওনার দুই হাতে এখন ডাক্তারা ড্রেসিং করছে। উনি ভালোই আছেন। তার মনোবল এখন আগের চেয়ে বেশি। তবে যত দিন সময়ই লাগুক না কেন, তিনি পুরোপুরি সুস্থ না হয়ে বাড়ি যাবেন না বলে আমাকে জানিয়েছেন। আমরা তিনজন ওনার সঙ্গে রয়েছি। হাসপাতাল থেকেই আমাদের তিনজনের খাওয়া দেওয়া হচ্ছে। আমরা এখানে ভালোই আছি।”
বৃক্ষমানব আবুল বাজনদারের আরো ১৫টি অপারেশন লাগতে পারে। ইতিমধ্যে দুটি সফল অপারেশন হয়েছে বলে জানান ডা. সামন্ত লাল সেন। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ২৬ বছর বয়সী আবুল বাজনদারের শরীরে গত ১০ বছরে প্রাায় পাঁচ কেজির মতো শিকড় গজিয়েছে। ‘আমরা তার তালু থেকে কিছু শিকড় অপসারণ করেছি। আমরা তার আঙ্গুলেও ড্রেসিং করেছি। তিনি এখন আগের চেয়ে সুস্থ। আবুল বাজনদারের আরো ১৫টির মতো অপারেশন করতে হবে, যাতে এক বছর সময় লাগবে। ” ৬ এপ্রিলের পর তার আরো একটি অপারেশন করা হবে বলেও জানান তিনি।