সিলেটে সুরমা রক্ষায় নদীতীরে ১০ কিলোমিটার সাইক্লিং
স্টাফ রিপোর্টার :: ‘সুরমা দূষণ বন্ধ করো’ এ স্লোগানে গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট নগরের ১০টি স্থান ঘিরে সাইক্লিং হযেছে। বিকেল চারটা থেকে দুই ঘন্টার সাইক্লিংয়ের মাধ্যমে নদী দূষণের বিরুদ্ধে জনসচেতনতার আহবানসংবলিত প্রচারপত্র বিলি করা হয়। গত ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার অ্যালায়েন্সের ‘সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার‘ ও সাইক্লিস্টদের সংগঠন ‘ক্রিটিকেল ম্যাস’ এর উদ্যোগে সাইক্লিং হয়।
বিকেল চারটায় সুরমা নদীর কিনব্রিজের নিকট ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদের ঘড়িঘরের সামনে সাইক্লিং সূচনা উপলক্ষে আলোচনা সভা হয়। বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আবদুল করিম কিমের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ,
মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুশফেকুর রহমান, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম, অঙ্গীকার বাংলাদেশের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মইনুদ্দিন আহমদ জালাল, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম সিংহ, বাংলা লিংকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক তৌফিক আহমদ চৌধুরী, সিলেটের অনলাইন সংবাদপত্র সিলেট টুডে এর সম্পাদক আবদুল আলীম শাহ, দৈনিক সবুজ সিলেটের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ছামির মাহমুদ।
সিলেটের মুক্ত চিন্তার সংগঠন ‘নিনাই’ এর সভাপতি তায়েফ আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাইক্লিস্টদের সংগঠন ‘ক্রিটিকেল ম্যাস’ সিলেটের সমন্বয়কারী মনজুর আহমদ। উপস্থিত ছিলেন, সারি বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবদুল হাই, বাপার বদর উদ্দিন চৌধুরী, ‘ক্রিটিকেল ম্যাস’ সিলেটের সংগঠক কান্তি লাল বৈদ্য ও অমিত চৌধুরী।
সভার পরপরই দুই শতাধিক সাইক্লিস্টের অংশগ্রহণে আলী আমজদের ঘড়িঘর থেকে সুরমা নদীর কাজীরবাজার সেতু, নদীতীরের দক্ষিণ সুরমার খোজারখলা, বড়ইকান্দি, মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, হুমায়ূন রশিদ চত্বর, মেন্দিবাগ মোড় ও মাছুদিঘিরপার হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয় সাইক্লিং। এ সময় সুরমা নদী দূষণের বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক প্রচারপত্র ও নদী রক্ষায় জনসাধারণের সার্বক্ষনিক সচেতনতায় মাইকিং করা হয়।