থেমেছে বৃষ্টি : খেলা হবে তো!
ডেস্ক রিপোর্ট :: বৈশাখের আগেই আগাম কালবৈশাখীর আঘাতে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা শুরু নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। রোববার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে হঠাৎ করেই আঘাত হানে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া। সঙ্গে সঙ্গে নামে প্রচণ্ড বৃষ্টি। এর মিনিট খানেক পর স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পুরো স্টেডিয়াম। ফলে পুরো মাঠ আর কভার দিয়ে ঢেকে সেরে উঠতে পারেনি গ্রাউন্ডসম্যানরা।
বৃষ্টির আশঙ্কায় আগে থেকেই কভার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল উইকেট; কিন্তু বৃষ্টি হবে না ভেবেই গ্রাউন্ডসম্যানরা ৬টা ১৮ মিনিটের দিকে উইকেটের কভার মুক্ত করেন। এবং এর মিনিট দুই পরেই হঠাৎ করেই ঝড়ো হাওয়া আঘাত হানলে উড়িয়ে নিয়ে যায় বাকি কভারটুকুও।
গ্রাউন্ডস ম্যানরা অনেক সংগ্রাম করে প্রায় দশ মিনিট প্রচেষ্টার পর ঠিক করে কভার। ফলে উইকেট ঢাকতে পারলেও পুরো মাঠের অধিকাংশই অনাবৃত থাকে। এদিকে বৃষ্টি হওয়ায় স্টেডিয়ামের সাধারণ গ্যালারির দর্শকরা বেরিয়ে যান। কেউবা বৃষ্টিতে ভিজতে থাকেন।
৬টা ৩৮ মিনিটের দিকে স্টেডিয়ামের দক্ষিণ কোনের ফ্লাইড লাইট জ্বলে উঠে। এর প্রায় পাঁচ মিনিট পর বৃষ্টির তেজ কিছুটা কমে আসে। তবে এখনও চলছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। ফলে খেলা শুরু নিয়ে দারুণ শঙ্কায় রয়েছেন আয়োজকরা। এদিকে বৃষ্টির তেজ কমার পর আবার গ্যালারিতে ঢুকতে শুরু করেছেন দর্শকরা।
সূচি অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা। তবে বৃষ্টির কারণে সাড়ে ৭টায় যে খেলা শুরু হচ্ছে না তা এখন প্রকার নিশ্চিত। বৃষ্টি পুরোপুরি থামলে আম্পায়াররা মাঠ পর্যবেক্ষণ করে খেলা শুরুর নতুন সময় নির্ধারণ করবেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে খেলা হলেও হতে হবে অন্তত ৫ ওভারের ম্যাচ।
সেক্ষেত্রে খেলা শুরুর জন্য সর্বোচ্চ অপেক্ষা করা হবে রাত ১০টা ৪৬ মিনিট পর্যন্ত। ১০ মিনিটের ইনিংস বিরতিসহ খেলা শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় রাত ১০টা ৪০ মিনিট। জরুরি পরিস্থিতিতে আম্পায়াররা সেটা সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা বাড়াতে পারবেন।
সে হিসেবে খেলা শেষ করতে হবে রাত ১১টা ৪০ মিনিটের মধ্যে। আর যদি বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত একটি বলও না গড়ায়, ম্যাচ হয়ে যাবে পরিত্যক্ত। দুই ফাইনালিস্ট বাংলাদেশ-ভারতকে তখন যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।