যে কোন মুহুর্তে গ্রেফ্তার আরিফ, নিরব বিএনপি
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী যে কোন মুহর্তে গ্রেফ্তার হতে পারেন। জানা যায় গত ২১ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফ্তারী পরোয়ানা জারী করার পর থেকে প্রশাসন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে কড়া নজরদারীতে রাখছে। তবে গ্রেফ্তারের আগে তাকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত হওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসন ২/৩ দিন সময় দিচ্ছে বলে একটি সুত্রে জানা যায়। এদিকে কিবরিয়া হত্যা মামলা দায়েরের পর থেকে সিলেট বিএনপি নিরব ভুমিকা পালন করছে। গত ৩০ অক্টোবর সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী ও মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং হবিগঞ্জের মেয়র জি কে গউছ সহ ৩৫ জনকে আসামী করে আদালতে সিআইডি সর্ম্পূক চার্জশিট দাখিল করার পর ৩১ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী সিলেট এসে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির এই ৩ নেতার নাম চার্জশীট থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। এবং ২ নভেম্বর জেলা ও মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে কোর্ট পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন। কিন্তু এই সমাবেশের পর থেকে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি নিরব ভুমিকা পালন করতেছে। তবে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলার বৃন্দরা ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন চার্জশীট থেকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নাম প্রত্যাহারের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়। এদিকে বিএনপির নিরব ভমিকা পালন করার কারণ হিসাবে জানা যায়, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিগত ৫ ই জানুয়ারী সারা দেশে বিএনপি পন্থী মেয়র ২০ দলীয় জোটের ডাকে রাজ পথে নেমে আসলে শুধু তিনি নেমে আসেননি। উল্টো তিনি আওয়ামীলীগের মন্ত্রীর গাড়ি চড়ে নগরীতে বেরিয়েছেন। আর তার এসব কর্মকান্ডে স্থানীয় বিএনপি ও সিলেট বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিএনপি নেতা কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ভালো চোখে দেখেননি। এমনকি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও সয়ং ােব্ধ। তাছাড়া সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ডার হিসাবে জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাহের শামীম কাজ করলেও তিনি যখন সদর উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন তখন আরিফুল হক চৌধুরী তার পক্ষে কাজ করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ তিনি মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েছ লোদীর সাথে ভারপ্রাপ্ত মেয়র পদ নিয়ে দ্বন্দে জড়িয়ে পড়েন । সব মিলিয়ে আরিফুল হক চৌধুরীর উপর সিলেট বিএনপি ক্ষোব্ধ রয়েছে বলে একটি সুত্রে জানা যায়। এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম বলেন,আরিফুল হক চৌধুরী কে নিয়ে যতটুকু করার কথা ছিল বিএনপি তা করেনি। তবে আমি আমার ব্যাক্তিগত ভাবে বিবৃতি দিয়েছি। তাছাড়া বিএনপির আহবায়ক কমিটি থাকায় কেউ দায়িত্ব নিতে চাচ্ছেন না। মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা.শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।