হাবিব হত্যার অন্যতম আসামী নাহিদ গ্রেফতার
ডেস্ক রিপোর্ট :: অবশেষে গ্রেফতার করা হলো সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিব হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি নাহিদ হাসানকে। শুক্রবার মধ্যরাতে মৌলভীবাজার শহরতলীর সুলতানপুর এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। সিলেট সিলেট সহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. নুরুল হুদা আশরাফী জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তার নেতৃত্বে মৌলভীবাজারে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে তাকে আটক করে সিলেট কোতোয়ালী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি খুন হন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এসআইইউ) ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিবুর রহমান। অভিযোগ ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই হত্যা করা হয় তাকে। হত্যাকাণ্ডের পরদিনই হাবিবের বড় ভাই বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ইলিয়াছ আহমদ পুনম, ইমরান খান, সুবায়ের আহমদ সুহেল, ময়নুল ইসলাম রুমেল, তুহিন আহমদ, নাহিদ হাসান, আওয়াল আহমদ সোহান, আশিক, সায়মন ও নয়ন।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজি হাবিবের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ১৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করে। এর আগে ১১ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ ইউনিভার্সিটির সিসিটিভি ক্যামেরা সংরক্ষিত থাকলেও আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ করেন কাজী হাবিবের সহপাঠীরা। এমনকি আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাহচর্যে থেকে অনেক আসামির প্রকাশ্যে চলাফেরার অভিযোগও ছিলো।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলার অন্যতম আসামি নাহিদ হাসান নগরীতে প্রকাশ্যে ঘটা করে বিয়ে করেন।সেই বিয়েতে উপস্থিত থাকেন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সিলেট সিটি মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। পরে বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের কাছে একজন আসামীর বিয়েতে উপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছিলেন যে, অভিযোগ সম্পর্কে তিনি জ্ঞাত ছিলেন না।
১০ ফেব্রুয়ারি এনিয়ে সিলেটটুডে টুয়েন্টিফোর ডটকম অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করলে বিষয়টি আলোচনায় ওঠে আসে।