কমলগঞ্জে ধর্ষণকালে পুলিশের সোর্স আটক!

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা এক মেয়েকে ফুঁসলিয়ে চা বাগান এলাকায় ধর্ষণকালে এলাকাবাসী পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকাী প্রতারক হারুনকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা তিনটায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগানের ফাঁড়ি কানিহাটি চা বাগান এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, হারুন মিয়া (৩৫) নিজেকে পুলিশের সোর্স দাবি করে সাধারন মানুষজনকে নানাভাবে হয়রানী করে। যে কোন ঘটনায় সে পুলিশি মামলায় মানুষের নামের তালিকা তৈরী করে পুলিশকে সরবরাহ করে পরে নাম কেটে দেওয়ার কথা বলে মানুষজনের কাছ থেকে চাহিদামত টাকা আদায় করে।
এলাকাবাসী ও কমলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটায় কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের শরিষতলা এলাকার এক মেয়ে (২০) অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। পথিমধ্যে প্রতারক হারুন মেয়েটিকে পেয়ে তাকে নানাভাবে ফুঁসলিয়ে নিয়ে কানিহাটি চা বাগানের প্লান্টেশন এলাকায় ধর্ষণ করে। চা শ্রমিকরা ঘটনাটি দেখে প্রতারক হারুনকে ধরে প্রাথমিকভাবে মারধর করে। পরে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী পরিদর্শক ফরিদ আহমদের কাছে সোপর্দ করে।
ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিতা মেয়ে ও ধর্ষণকারীকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসার সময় নির্যাতিতা মেয়ে সাংবাদিকদের জানায়, রাস্তায় একে পেয়ে হারুন ভালো মানুষ সেজে প্রতারনা করে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। তবে পুলিশি হাজতে থাকা অবস্থায় হারুন নিজেকে নির্দোষ দাবী করে। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। এখন ধৃত ধর্ষণকারীকে শনিবার মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মৌলভীবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কমলগঞ্জে এসে মেয়ের পরিবার সদস্যদের সাথে কথা বলেন। তিনি ঘটনা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ বলেন, হারুন এ ইউনিয়নের ভাদাইর দেউল গ্রামে বাস করে নানা অপকর্মের সাথে যুক্ত রয়েছে। তাছাড়া হারুনের তিনজন স্ত্রী রয়েছে। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানিয়েছেন এ ধরনের প্রতারকদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।