মৌলভীবাজারের ১৩ বিদ্যালয়কে অতিরিক্ত ফি ফেরত দেয়ার নির্দেশ শিক্ষা বোর্ডের

বিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণ বাবদ আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ আগামী ৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এছাড়াও ওই তারিখের মধ্যে টাকা ফেরত দিয়ে বোর্ডকে অবহিতকরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের দেয়া চিঠি থেকে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় গোপন প্রতিবেদনের মাধ্যমে ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিদ্যালয় ফরম পূরণ বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে। মন্ত্রণালয় এর একটি তালিকাও প্রণয়ন করেছে। এর আলোকে মন্ত্রণালয় ২ ফেব্রুয়ারি ৩৭. ০. ০০০০. ০৭২.৪৪.০৯৭.১২.৭৬৯ নং স্মারকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সালমা জাহান স্বাক্ষরিত একটি পত্র সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাঠায়। ওই পত্রে ৭ দিনের মধ্যে যে বিদ্যালয় ফরম পূরণ বাবদ আদায়কৃত অর্থ ফেরত দিয়েছে ও যেসব বিদ্যালয় টাকা ফেরত দেয়নি তার একটি তালিকাও মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়। ওই পত্র পাওয়ার পর সিলেট শিক্ষা বোর্ডর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একেএম গোলাম কিবরিয়া তাপাদার ৪ ফেব্রুয়ারি (সিশিবো/প্রশা-১৭৮/২০১৬/১০০ স্মারকে) এক পত্রের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণ বাবদ আদয়কৃত অতিরিক্ত অর্থ ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেয় বোর্ডকে। ওই ১৩টি বিদ্যালয়ের মধ্যে রাজনগরের আইডিয়েল হাইস্কুল, কদমহাটা উচ্চ বিদ্যালয়, পাঁচগাও উচ্চ বিদ্যালয় ও তারাপাশা হাইস্কুলের নাম রয়েছে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে ফরম পূরণ বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের তালিকায় মৌলভীবাজারের কাশিনাথ আলাউদ্দীন, হাফিজা খাতুন গার্লস, দ্যা ফাওয়ার্স কেজি, পৌরসভা গার্লস, শ্রীমঙ্গলের উদয়ন বালিকা, কুলাউড়ার নবীন চন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়, জুড়ীর মুক্তাদির গার্লস্ উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে।
এসব বিদ্যালয় সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৮৭০ টাকা অতিরিক্ত ফি আদায় করেছে। যদিও বোর্ড নির্ধারিত-ফি ছিল বিজ্ঞান শাখায় ১৫৩০ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় ১৪২০ টাকা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন জানান, এ ব্যাপারে বোর্ড আমাদেরকে ই-মেইলে চিঠি পাঠিয়েছে। আমরাও চিঠিটি ওই সব বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। ৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে যদি তারা আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ ফেরত না দেয় এবং বোর্ডকে রিপোর্ট না করে তাহলে বোর্ড ধরে নেবে ওই বিদ্যালয় টাকা ফেরত দেয়নি। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।