নো ভ্যাট অন এডুকেশনঃ হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে বিক্ষোভ

no_vat_on_education10-09-2015সুরমা টাইমস ডেস্কঃ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর ৪টি স্থানসহ সারাদেশে ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’র ব্যানারে বিক্ষোভ করছে।
এরমধ্যে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা শান্তিনগরে, ইস্ট-ওয়েস্ট ই্উনিভার্সিটি আফতাবনগরে, আইইউটিএস বারিধারায়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি মহাখালীতে ও ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের যাবতীয় লেনদেনের উপর ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের উপর পুলিশের গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
সকাল ১০টায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে, দুপুর ১২টায় ধানমন্ডি ২৭ নাম্বারে, বেলা ১১টায় উত্তরার হাউজ বিল্ডিং মোড়ে, বেলা ১১টায় বসুন্ধরা আবাসিক গেইটে এবং ১২টায় বনানিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তা ছাড়া, নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটেও বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।
নো ভ্যাট অন এডুকেশনের মুখপাত্র ফারুক আহমাদ আরিফ বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে আমাদের আহ্বান হচ্ছে, এসব বিক্ষোভ সমাবেশগুলো শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। কোনভাবেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে যাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, নো ভ্যাট অন এডুকেশন জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা হওয়ার পর গত ১৩ জুন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ জুলাই থেকে শিক্ষাখাতে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
বুধবার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের উপর পুলিশের গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা জানিয়ে নো ভ্যাট অন এডুকেশনের মুখপাত্র বলেন, যে সকল পুলিশ সদস্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জ করেছে তাদেরকে চিহ্নত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আহত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে।
আরিফ বলেন, ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রসমাজ ঘরে ফিরে যাবে না। আমরা সরকারের কাছে আবারও আহ্বান জানাচ্ছি শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসকারী ভ্যাট তুলে নিয়ে আমাদের ক্লাস রুমে ফিরে যাবার ব্যবস্থা করুন।
অন্যথায় ছাত্রসমাজ, শিক্ষার্থী-শিক্ষক, অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃকপক্ষ, শিক্ষাবিদ, সাধারণ মানুষসহ দেশের আপামর জনসাধারণকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
নো ভ্যাট অন এডুকেশনের মুখপাত্র বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালিয়ে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন দমাতে পারেনি পাক জান্তারা। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহানমুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিসহ সকল আন্দোলনে ছাত্রসমাজ বিজয়ী হয়েছে।
২০১৫ সালেও শিক্ষাব্যবস্থার উপর ৭.৫ ভ্যাট প্রত্যাহারের আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবো। সে জন্য আমাদের ধৈর্য ধরে সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যেতে হবে। কোনভাবেই কোন কুচক্ররির কথায় বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। দেশবিরোধী কোনো কার্যক্রম করা যাবে না।