জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে একুশের ভাস্কর্য স্থাপন : নতুন জয়গান ও ইতিহাসের জন্ম

ফিতা কেটে ভাস্কর্য স্থাপন উদ্বোধন করছেন মাসুদ বিন মোমেন। ছবি- এনা।
ফিতা কেটে ভাস্কর্য স্থাপন উদ্বোধন করছেন মাসুদ বিন মোমেন। ছবি- এনা।

নিউইয়র্ক থেকে এনা : যত দ্রুত সম্ভব সরকারি উদ্যোগে নিউইয়র্কে একটি শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা করা হবে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে মাসোব্যাপি ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন। জাতিসংঘের সামনে ভাস্কর্য স্থাপনের মধ্যদিয়ে বাংলা ভাষার নতুন জয়গান শুরু হলো, সৃষ্টি হলো নতুন ইতিহাস, স্বপ্ন রূপ পেল বাস্তবে। যার যাত্রা আমেরিকায় অবস্থিত জাতিসংঘ সদর সপ্তরের সামনেই।
জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে ভাষা শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ স্থাপনের ঐতিহাসিক মুহুর্তকে বাংলা ভাষা ও ভাষা শহীদদের জন্য বড় অর্জন বলে জানান অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া বিশিষ্টজনেরা। ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা মাসব্যাপী এই ভাস্কর্যের।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুধীর একাংশ। ছবি- এনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুধীর একাংশ। ছবি- এনা।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ( নিউইয়র্ক সময়) সোমবার বিকেল তিনটায় জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে প্রথম বারের মতো স্থাপিত মাসোব্যাপী এই ভাস্কর্য’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি নিউইয়র্ক সিটি এবং স্টেটের প্রতিনিধিরা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঐতিহাসিক এই শুভ সূচনার প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদনে এসে বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষা ছড়িয়ে পড়ায় উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ।

শিল্পী মৃনাল হকের নির্মিত ভাস্কর্য। ছবি- এনা।
শিল্পী মৃনাল হকের নির্মিত ভাস্কর্য। ছবি- এনা।

সেমন্তী ওয়াহিদের সঞ্চালনায় এবং আয়োজক সংগঠন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের কর্ণধার বিশ্বজিৎ সাহার সার্বিক তত্ত্বাবধারে অমর একুশে ভাষা শহীদদের ভাস্কর্য উন্মোচনের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় শুরুতেই বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশনরে স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, কনসাল জেনারেল শামীম আহসানসহ নিউইয়র্ক সিটি এবং স্টেটের প্রতিনিধিরা। এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, লেখক ও কলামিস্ট হাসান ফেরদৌস, সিনিয়ির সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ ও ফাহিম রেজা নূর, বাঙালি চেতনা মঞ্চের আব্দুর রহিম বাদশা, মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের বিশ্বজিত সাহা, গোপাল স্যান্যাল।
যাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই মায়ের ভাষা, তা কেবল আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রাখতে সর্বোস্তরের প্রতি আহ্বান অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকের। ঐতিহাসিক এই ভাস্কর্য স্থাপনে নিউইয়র্ক সিটি ও জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতাকে সাধুবাদ জানান এর অন্যতম কারিগর বিশ্বজিৎ সাহা।
এসময়ে, সরকারি উদ্যোগে নিউইয়র্কে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দিলেন ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে আসা বাংলাদেশের সরকারের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকরা।