আমিরাতে চড়ুইভাতি : পরবাসে বাঙালিয়ানা
লুৎফুর রহমান, দুবাই: গত ২৯ জানুয়ারি ২০১৬ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব আয়োজন করেছিল প্রবাসি বাঙ্গালীদের প্রিয় বনভোজন অনুষ্ঠান ‘চড়ুইভাতি ২০১৬’। প্রায় একশত গাড়ির বিশাল বহর নিয়ে যাত্রার উদ্দেশে বনভোজন যাত্রীরা যার যার নিজস্ব বাহন নিয়ে আরব আমিরাতের শারজাহ এর ঐতিহ্যবাহী অস্ট্রালিয়ান স্কুলের সামনে এসে মিলিত হয়। সেখানে সবাইকে সকালের নাস্তা পরিবেশন করা হয় এবং প্রতিটি গাড়িকে চড়ুইভাতির সুদৃশ্য প্ল্যাকার্ডে সজ্জিত করা হয়। সবার উপস্থিতি শেষে সেখান থেকেই শুরু হয় বিশাল গাড়ি বহরের চড়ুইভাতি যাত্রা। গন্তব্য কালবা করনিস পার্ক। প্রায় দুই ঘণ্টার যাত্রা শেষে গাড়ি বহর এসে পৌছাই সবুজে ঘেরা কালবা পার্কে। সৈকতের পাশে অবস্থিত কালবা পার্কের মন কাড়া সবুজ চত্বর আর সেই সাথে শীতের মৃদু ঠাণ্ডা হাওয়া যেন বনভোজনে আসা বাঙালিদের মনকে আরও চঞ্চল করে তোলে । প্রায় পাঁচশত বাংলাদেশীর অংশগ্রহণে এই অনুষ্ঠান মুহূর্তের মধ্যে মুখরিত হয়ে উঠে। পার্কের মাঠে সবাই খণ্ড খণ্ড হয়ে যে যার মতো গান বাজনা আর খেলা ধুলাই মেতে উঠে । দুবাইয়ের এন্টি ভাইরাস গ্রুপ হ্যাট মাথায় একই পোশাকে সজ্জিত হয়ে এসে সবার নজর কেড়ে নেয়। এরপর শুরু হয় নানান মনোরঞ্জনকারী খেলাধুলার অনুষ্ঠান। শিশুদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হয় দৌড় প্রতিযোগিতা ও বাস্কেট বল থ্রো । পুরুষরাও অংশগ্রহণ করে একটি মজাদার খেলাই । এতে পুরুষদেরকে পা ভাজ না করে একটি নিচু করে ধরা ফিতাকে অতিক্রম করতে হয়। এবারের চড়ুইভাতির সবচাইতে আকর্ষণীয় ইভেন্টটি ছিল দম্পতিদের নিয়ে। এতে সকল দম্পতিদেরকে পুরানো বাংলা চলচিত্রের গানের সাথে নায়ক নায়িকাদের ভঙ্গিতে অভিনয় করে দেখাতে হয়। বনভোজনে আসা দম্পতিদের এই অপ্রত্যাশিত অভিনয় মেধা সবাইকে মুগ্ধ করে এবং হাসি আনন্দের খোরাক যোগায়। এই প্রতিযোগিতায় পারভেজ/পপি জুটি প্রথম হয়। পুরো অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন মামুন রেজা ও ইমাম হোসেন জাহিদ। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সোশ্যাল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট নওশের আলি, নজরুল ইসলাম, আলি আহসান, জুলফিকার হায়দার খান, এম এ সোয়েব, জাহাঙ্গির আলম রুপু, আরিফ আহমেদ রুমি প্রমুখ।