সিলেটে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর উপর গুলি : দেড়মাসেও গ্রেফতার হয়নি অস্ত্রধারীরা

SYLHET PROBASI MEHER PICডেস্ক রিপোর্ট: সিলেটে গুলিবিদ্ধ প্রবাসী মেহের এখন ইংল্যন্ডে। প্রাণ বাঁচাতে তিনি পালিয়ে গেছেন বৃটেনের রাজধানী লন্ডনে। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় দেড়মাসেও গ্রেফতার হয়নি বন্দুকধারী সন্ত্রসীরা । উদ্ধার করা হয়নি তাদের কাছ থেকে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি। ঘটনাটি ঘটেছে গতবছরের ২০ ডিসেম্বর এসএমপি’র দক্ষিন সুরমা থানাধীন ধরাধরপুর গ্রামে।
জানা গেছে, ধরাধরপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মেহের আহমদ জামাল (৫২) সম্প্রতি দেশে ফিরেন। এ সময় তার সাথে জমি নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে একই গ্রামের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদসহ কয়েকজন। এ বিরোধর জের ধরে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর রাতে হামলা হয় প্রবাসী মেহের আহমদ জামালের উপর।
অভিযোগে প্রকাশ, প্রতিপক্ষ হারুন ও তার সহযোগীরা পিস্তল দিয়ে প্রবাসী মেহেরের উপর উপর্যুপরি গুলি চালায়। এসময় তার শরীরের একাধিক অঙ্গে গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনার পর গুরুতর অবস্থায় প্রবাসী মেহেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অস্ত্রোপচার করে তার দেহ থেকে গুলি বের করা হয়। এ ঘটনায় মেহের আহমদ নিজে বাদী হয়ে এসএমপির দক্ষিন সুরমা থানায় ৩জনকে এজাহারভুক্ত করে ৬জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং-১৪(১২)১৫,ধারা-৩২৬,৩০৭ ও ৩৪) করেন। মামলার আসামীরা হচ্ছে, সিলেটের দক্ষিন সুরমা থানাধীন ধরাধরপুর গ্রামের মৃত হিরন মিয়ার পুত্র সিলেট নগরীর মদিনা মর্কেটস্থ বনফুল মিষ্টিঘরের প্রোপাইটর হারুনুর রশিদ,একই গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র মিনহাজ ও মৃত সফর আলীর পুত্র মাসুক মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩জন। ঘটনাটি গনমাধ্যমে প্রচারিত হলে সর্বত্র আলেচিত হলেও টনক নড়েনি এসএমপি পুলিশের। দীর্ঘপ্রায় দেড়মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার কিংবা হামলায় ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধার করতে পারেনি। প্রবাসীর উপর হামলাকারী হারুনসহ আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও তাদের ব্যবসা বানিজ্য সদর্পে পরিচালনা করছে। পাশপাশি মামলা তুলে নিতে প্রবাসীসহ তার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে চলেছে। এ অবস্থায় প্রবাসী মেহের প্রাণভয়ে ইংল্যান্ডে চলে গেলেও দেশে থাকা তার স্বজনরা চরম নিরপত্তাহীনতায় ভোগছেন। প্রবাসী মেহের তার উপর হামলাকারী বন্ধুকধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে বর্তমান সরকারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে লিখিত আবেদন জানিয়েছন। গত ১২জানুযারী লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে তিনি হামলাকারী সন্ত্রসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও তাদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে সিলেট পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা ও র‌্যাব এর কাছে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছেন। তার প্রেরিত আবেদনটি বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সিলেটে পৌছায় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যপারে এসএমপির দক্ষিন সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি গুরুত্বসহকারে আইনের যথাযথ ধারায় গ্রহন করা হয়েছে। উচ্চপর্যায়ের তদন্তের জন্য মামলাটি ইতোমধ্যে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত ও আসামীদের গ্রেফতারে ডিবিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে আসামীরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের গ্রেফতারে তল্লাশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।