কাজী হাবিব খুনিদের গ্রেফতার দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

15935ডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র কাজী হাবিবের খুনীদের গ্রেফতার, ইউনির্ভাসিটি থেকে খুনিদের স্থায়ী বহিস্কার এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেওয়ার দাবিতে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা দুপুর ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী পালন করে।

অবস্থান কর্মসূচী থেকে শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, যদি সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ খুনিদের গ্রেফতার এবং স্থায়ী বহিষ্কার করা না হয় তাহলে রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করা হবে।

বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাহেল আহমদ, সুমন সুত্রধর, জলক রায়, সিহাব, আলমগীর, আরিফ, হিমেল, শুভ, জুবেদ মিয়া, জেবু মিয়া, আফজাল হোসেন, জামি, ডালিম, নাহিয়ান প্রমূখ।

গত ১৯ জানুয়ারি সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মীদের ছুরিকাঘাতে খুন হন ছাত্রলীগ কর্মী কাজি হাবিবুর রহমান হাবিব। পর দিন হাবিবের ভাই কাজি জাকির হোসেন ১১ জনকে আসামীকে করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ছাত্রলীগ কর্মী হোসাইন আহমদ সাগরকে মামলায় প্রধান আসামী করে এ মামলা দায়ের করা হয়।

হাবিবের উপর হামলার ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভিতেও ধরা পড়ে। সেই সিসিটিভি ফুটেজ তুলে দেয়া হয় পুলিশের হাতে। তবু এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

জানা যায়, ছাত্রলীগের সাগর গ্রুপের কর্মী ছিলেন কাজী হাবীব। সম্প্রতি তিনি গ্রুপ বদল করে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার গ্রুপে যোগ দেন। গ্রুপ বদলের দায়ে ১৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন হাবীব।

আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১১ টায় এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

হামলার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটায় নগরীর শামীমাবাদে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে সাগর ও সোহেলের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগকর্মী তার উপর হামলা চালায়। এসময় হাবিবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তারা।

নিহত হাবিব কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের রানীঘাট গ্রামের কাজি সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ও সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।