কয়েক বছর পর দেশে কোনো মামলাজট থাকবে না: সিলেটে প্রধান বিচারপতি

S K Singhaডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক ভোজসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিশ্বদরবারে এটি সুনাম অর্জন করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বিশ্বের সুপারপাওয়ার দেশগুলোর অন্যতম রাশিয়ার প্রধান বিচারপতি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। রাশিয়ার প্রধান বিচারপতি আমাকে বলেছেন, বিদেশী কোন সহযোগিতা ছাড়া এতো বড় একটি বিচার বাংলাদেশে সুনিপুনভাবে সম্পন্ন হচ্ছে দেখে রাশিয়া খুবই আনন্দিত হয়েছে। এরকম একটি বিচারকার্য সচক্ষে দেখার জন্য ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশে আসবেন।’

বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত বার্ষিক নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ৩১ লাখ মামলা বিচারাধীন আছে। দীর্ঘদিনে জট বেঁধেছে এসব মামলা। তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আদালতগুলো থেকে মামলার বোঝা কমানোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি। এখন প্রতিটি আদালতেই ধীরে ধীরে মামলা জট কাটতে শুরু করেছে। তিনি বলেন আগামী কয়েকবছরের মধ্যে দেশের আদালতগুলোতে মামলাজট থাকবে না। বিচারকার্যে গতি ফিরে আসবে। এরই অংশ হিসাবে আদালতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মামলার বাদী, বিবাদী ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।

এস কে সিনহা জানান, ‘বিচারক থেকে শুরু করে আদালতের পুরো কার্যক্রম থাকবে সার্ভারে। যখন তখন প্রয়োজনে মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এটা দেখতে পারবে। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীও প্রতিটি জেলার বিচার কার্যক্রম তদারকি করবেন।’

বিচারপতি এসকে সিনহা বলেন, বিদেশে অবস্থানরত স্বাক্ষীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের স্বাক্ষ্য প্রদান করতে পারবেন। তাদের জন্য আগামী মাস থেকে এই কার্যক্রম শুরু হরা হচ্ছে। এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নতুন আইনজীবীদের বরণ, আইনজীবীদের মেধাবী সন্তানদের এককালীন বৃত্তি প্রদান, অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট আইনজীবী সমিতির সভাপতি একেএম সমিউল আলম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, সিলেট জেলা ও দায়ারা জজ মনির আহমদ পাটওয়ারী, মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা, অ্যাডভোকেট কায়মূল হক চৌধুরী প্রমুখ।