তাহিরপুর সীমান্তে অবৈধ পাথর কোয়ারি দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ : আহত ৫

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের যাদুকাটা নদীতে অবৈধ পাথর কোয়ারি দখল করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় খাজা মইনুদ্দিন(৫৫)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করে এলাকার প্রভাবশালীরা ব্যক্তিরা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১২০৩পিলার এর জিরো পয়েন্ট পার হয়ে ভারতে ও জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন স্থানে অবৈধভাবে শতশত পাথর কোয়ারী তৈরি করেছে। এবং স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথা বলে ও সমিতির নামে প্রতি কোয়ারি থেকে ৩হাজার করে ও পাথর পরিবহণের লড়ি থেকে ২হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়েছেন পুরান লাউড় গ্রামের প্রভাবশালী ওসমান গণি। আর সেই অবৈধ পাথর কোয়ারি দখল নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে লাউড়গড় গ্রামের খাজা মইনুদ্দিন ও মানিগাঁও গ্রামের সুহেল মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটির হয়। তারই জের ধরে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় অবৈধ পাথর কোয়ারির মালিক খাজা মইনুদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এসময় পাথর নিক্ষেপের অন্যান্যরাও আহত হয়। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় খাজা মইনুদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এব্যাপারে জানতে লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী নাম্বারে ফোন করলে ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে নিজের পরিচয় না দিয়ে এক বিজিবি সদস্য বলেন,আমাদের উপরস্থ কর্মকর্তার সাথে যোগযোগ না করে আমার নাম পরিচয়সহ কোন তথ্যই দেওয়া যাবে না। তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন,সংঘর্ষের বিষয়টি জানতে পেরেছি, এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।