বিশ্বনাথে বলাৎকারে প্রতিবাদ করায় খুন করা হয় মাদ্রাসা ছাত্র সালমান আহমদকে

salmanবিশ্বনাথ প্রতিনিধি: সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা শহরের নতুনবাজারে জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদনিয়া মাদ্রাসার ফজিলত ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সালমান (১৭) খুনের কু উদঘাটন করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. আব্দুল হাই স্থানীয় সাংবাদিকদের তাঁর অফিসে নিয়ে খুনের রহস্য মৌখিকভাবে বলেন।
বলাৎকারের প্রতিবাদ করায় সালমান আহমদকে খুন করা হয় : মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা বশির আহমদ সালমান আহমদকে প্রায় সময় বলাৎকার করতেন। বলাৎকারের প্রতিবাদ করার কারণে তাকে খুন করা হয়। সালমানকে বলাৎকার করার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে পুলিশের কাছে।
যেভাবে খুন করা হয় : মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদ এর ভাই মহসিনউদ্দিন নাঈম ছিল সালমানের বন্ধু ফজিলত ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল নাঈম। সেই সুবাদে নাঈমের সঙ্গে তাদের বাসায় যাওয়া আসা করত সালমান আহমদ। গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে সালমানকে খুন করা হয়। পরে গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার নতুনবাজার এলাকার তফজ্জুল আলী কমপ্লেক্সের সামনে সালমান আহমদের লাশ পাওয়া যায়। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর সালমানের মা কুতুবি বেগম বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং ২০।
সালমানের জুতা উদ্ধার : হত্যার পরদিন ৩১ ডিসেম্বর সালমান আহমদ (১৭)’র ব্যবহৃত জুতা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদ ও নিহতের সহপাঠী মহসিনউদ্দিন নাঈম’র বাসা থেকে উদ্ধার করেছে। সালমানের জুতা উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, উদ্ধার হওয়া জুতা সালমানের মা কুতুবি বেগম সনাক্ত করেছেন।
মামলার এজাহারে যা উল্লেখ করা হয়েছে : মামলার লিখিত অভিযোগে সালমান আহমদের মা উল্লেখ করেছেন, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদের ছোট ভাই মহসিনউদ্দিন নাঈম অজ্ঞাতনামা দূষ্কৃতিকারীদের যোগসাজসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সালমান আহমদকে হত্যা করা হয়েছে।
কেএই সালমান : সালমান আহমদ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের বাকপ্রতিবন্ধি ছোটন মিয়া ও কুতুবি বেগম দম্পতির সন্তান। দীর্ঘদিন ধরে সে মাদ্রাসার বোডিং থেকে লেখাপড়া করে আসছে।
থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. আব্দুল হাই বলেন, ইতিমধ্যে ওই হত্যাকান্ডের বেশ কিছু তথ্য উদঘাটন করা হয়েছে। খুবই শিগগিরই এ হত্যা কান্ডের পুরো রহস্য বের হয়ে আসবে।
তিনি বলেন, সালমান হত্যা মামলায় এখনও পর্যন্ত মাদ্রাসার প্রিন্সিপালসহ ৭জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার নতুন বাজার এলাকার তফজ্জুল আলী কমপ্লেক্সের সামনে সালমান আহমদের লাশ পাওয়া যায়। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর সালমানের মা কুতুবি বেগম বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।